কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, কোন পার্টি বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হেফাজত ইসলামের উদ্দেশ্য নয়। হেফাজতের উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর জমিনে হযরত মুহাম্মদ (স:) এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। এই হল হেফাজতের অবস্থান। হেফাজত শান্তি-শৃঙ্খলা চায়। কোন অশান্তি বা বিশৃঙ্খলায় যেতে চায়না। হেফাজত কোনো সংঘাতেও যেতে চায় না। কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়। সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওই বার্তায় তিনি আরও বলেন, হেফাজত হলো দেশের একটি বড় অরাজনৈতিক দল। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা লাভ করা হেফাজত ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে এসেছে। প্রায় ১১ বছরে কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না কোন পার্টির সাথে হেফাজতের সম্পর্ক ছিল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর বিরোধী হেফাজতের কোন কর্মসূচি ছিল না বলে দাবি করেন হেফাজত আমির। ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, এমনি কিছু কিছু বক্তা তাদের বক্তব্যে এ ব্যপারে বললেও কিন্তু মোদি আসার ব্যাপারে হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। অথচ মোদীর সফর ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু দুর্ঘটনা হয়েছে।
এছাড়া ২৬ মার্চ হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। আমাদের কোন কমান্ড ছিল না। আমি নিজে হাটহাজারী মাদরাসায় ছিলাম না, দূরে সফরে ছিলাম। এর আগে ঢাকার বায়তুল মোকাররমে কিছু মুসল্লি এবং ক্যাডারের মাঝখানে কিছু আঘটন ঘটেছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভিতরে ক্যাডাররা মুসল্লিদেরকে মারধর করেছে। এরপরে হাটহাজারীর ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে হেফাজত আমির দাবি করেন।
আমাদের দেশের অবস্থা একটু ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে এমনটা মন্তব্য করে হেফাজত আমির ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, ‘মাহে রমজানে প্রশাসন বেদড়কভাবে আমাদের হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মী, হক্কানী আলেম ওলামাদের, দেশের জনগণকে, ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে হয়রানি ও গ্রেফতার করছে। অবিলম্বে এ ধরপাকর ও হয়রানি বন্ধ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তাছাড়া আমাদের হেফাজত নেতারা ছাড়াও আলেম-ওলামাসহ ছাত্র ও তৌহিদী জনতা যাদেরকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’