তিন মাস ধরে শূন্য রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদ। গত ২১ আগস্ট এই পদে মেয়াদ পূর্ণ করেন আইন বিভাগের অধ্যাপক সেলিম তোহা। একই সময় উপাচার্যের মেয়াদ পূরণ হয়। তবে ৪০ দিনের মাথায় নতুন উপাচার্য নিয়োগ হলেও শূন্য রয়েছে কোষাধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটি। উপাচার্য নির্বাহী ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক কাজ পরিচালনা করলেও কিছু কাজে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে কোষাধ্যক্ষ পদ পেতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা। আলোচনায় তিনজন অধ্যাপকের নাম শোনা যাচ্ছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, আলোচিত তিন শিক্ষকের নাম ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তালিকাভুক্ত হয়েছে। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলোমগীর হোসেন ভূঁইয়া, একই বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মুঈদ রহমান এবং হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক কাজী আখতার। এই তিন অধ্যাপকের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র।
এর মধ্যে অধ্যাপক আলোমগীর এর আগে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্র ঘোষিত কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন। অধ্যাপক মুঈদ অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন। অধ্যাপক কাজী আখতার বর্তমানে শিক্ষক সমিতির সভাপতির পদে রয়েছেন। এ ছাড়া তিনি ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন ও বর্তমানে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যাপক মুঈদ বলেন, একজন বলেছেন আমার নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কিছু জানি না। অধ্যাপক কাজী আখতার বলেন, শুনেছি তিনজনের মধ্যে আমার নাম তিন নম্বরে আছে। সরকার কোনো দায়িত্ব দিলে অবশ্যই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তিন অধ্যাপক মূল আলোচনায় থাকলেও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন আরও কিছু পদপ্রত্যাশী শিক্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও কয়েকজন শিক্ষক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালাম বলেন, কোষাধ্যক্ষ একটি বড় পদ। নিয়োগ খুব জরুরি। পদটি শূন্য থাকায় দৈনিক অতিরিক্ত ৫০টির বেশি ফাইল স্বাক্ষর করতে হচ্ছে।