রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের শ্রীধন পাড়ার বাসিন্দা ও উখিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক শাহ আলম কাজল হেরে গেলেন ক্যান্সারের কাছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর বয়স হয়েছিলো ৪৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, মা, দুই ভাই, তিন বোন, আত্মীয়-স্বজন সহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রাত ১০টায় রামু কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে রামু মন্ডল পাড়া কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত বছরের অক্টোবর মাসে শাহ আলম কাজলের ক্যান্সার রোগ শনাক্ত হয়। এরপর তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, ঢাকা পপুলার হাসপাতাল ও কলকাতা টাটা ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে মরদেহ রামুর শ্রীধন পাড়াস্থ মরহুমের বাড়িতে পৌঁছালে শোকাহত আত্মীয়-স্বজন সহ সর্বস্তরের জনতা, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতারা শাহ আলম কাজলকে দেখতে ছুটে আসেন।
শাহ আলম কাজল রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের শ্রীধন পাড়া নিবাসী মরহুম মোহাম্মদ ইউসুফের বড় ছেলে, কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রহিমা বেগমের স্বামী এবং রামু চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতির সদস্য নুরুল আলম ভুট্টোর বড় ভাই।
মরহুম শাহ আলম কাজল রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৮৯ ব্যাচের ছাত্র এবং এপেক্স ক্লাব অব কক্সবাজারের সাবেক সভাপতি। ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি উখিয়া ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নামাজে জানাযা পূর্ব স্মরণসভায় স্মৃতিচারণ করেন রামু কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামশুল হক, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, উখিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ আবদুল হক, এপেক্স ক্লাব অব কক্সবাজার এর সাবেক গভর্নর অ্যাডভোকেট রমিজ আহমদ, পরিবারের পক্ষে মরহুমের বড় ভাই রমজান আলী। স্মরণসভা সঞ্চালনা করেন ওমর ফারুক মাসুম। নামাজে জানাযায় ইমামতি করেন মাদরাসা জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়ার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আবদুল হান্নান।
শাহ আলম কাজলের মৃত্যুতে শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।