প্রতারণার হাত থেকে বাঁচিয়ে পারিবারিক সম্মান রক্ষা করতে বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। এতে বিয়ে-ডিভোর্স সংক্রান্ত বিষয়ে সম্মান রক্ষা করতে এবং পারিবারিক জীবন বাঁচাতে বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন ডিজিটাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৪ মার্চ) ক্রিকেটার নাসিরের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির আগের স্বামী ভুক্তভোগী রাকিব হাসানসহ তিন ব্যক্তি ও একটি সংগঠন এ রিট দায়ের করেন।
রিটকারী অন্যরা হলেন, ভুক্তভোগী সোহাগ হোসেন, কামরুল হাসান ও এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন। রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আইন সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব, ধর্ম সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন করার নির্দেশনা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। এর আগে এ বিষয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনের আইনগত বিধান থাকলেও তা ডিজিটাল না করার ফলে অসংখ্য প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিয়ে গোপন রেখে ডিভোর্স না দিয়ে বিয়ে করার ঘটনা অনেক ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে, সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়েও জটিলতা দেখা যাচ্ছে। বিয়ে সংক্রান্ত অপরাধ বেড়ে অসংখ্য মামলার জন্ম নিচ্ছে। তাই, বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল হওয়া একান্ত আবশ্যক।
বিয়ে ও ডিভোর্স ডিজিটালাইজেশন করলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে সার্চ করলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। এতে প্রতারণার হাত থেকে অসংখ্য মানুষ রক্ষা পাবে। অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান আরও বলেন, বিয়ে ও ডিভোর্সের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল হওয়া জরুরি। বর–কনের ছবিসহ বিয়ে ও তালাকের রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজ হলে তথ্যের সত্যতা যাচাই করা যাবে।
নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়। নোটিশ দেওয়ার পরও বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল করতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, বিয়ের পিঁড়িতে বসা ক্রিকেটার নাসিরের স্ত্রী তামিমা সুলতানা তার আগের স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই আবার বিয়ে করেছেন। এমন অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় এমন অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি করেছেন তামিমার পূর্বের স্বামী রাকিব হাসান। থানায় তামিমার সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন রাকিব। তামিমার সঙ্গে রাকিবের ১১ বছরের সংসার ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে জিডিতে। দুজনের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। কিন্তু সব ফেলে নাসিরকে বিয়ে করায় থানায় অভিযোগ করেছেন রাকিব।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় নাসির ও তামিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। নাসিরের স্ত্রী পেশায় একজন কেবিন ক্রু। কাজ করেন বিদেশি একটি এয়ারলাইনসে।