খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রচলিত অধ্যাদেশে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না। ফলে প্রস্তুতি নেওয়া হলেও অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হচ্ছিল না। রোববার একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনায় সরকার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে সকাল সাড়ে ১১টায় একাডেমিক কাউন্সিলের ১৭২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ডিনসহ সংশ্নিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় করোনা পরিস্থিতিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইন পাঠদান ও পরীক্ষা-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদন ও কারিগরি কমিটির দাখিল করা প্রতিবেদন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং সেখানে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনে এবং স্বাভাবিক হলে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের সব পথ খোলা থাকল। এর ফলে করোনা মহামারির পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে একাডেমিক ক্ষেত্রে যে ক্ষতি হয়েছে তা অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে অনেকটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সচিব রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস জানান, অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে খুব শিগগির একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো তা অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং অনলাইনে শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।