পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়াই কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির আর্শীবাদে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হতে পেরেছিলেন সারোয়ার আকরাম আজিজ। বর্তমানে তিনি ভিসির রুটিন দায়িত্বে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় তিনি একাধিকবার বিভিন্ন অনৈতিক ও অনিয়মের আশ্রয় নেয়ায় দোষী সাব্যস্ত হন।
তিনি বিভিন্ন সময়ে দোষী সাব্যস্ত হলে ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন। বৈধভাবে ছাত্রের সুপারভাইজার না হয়েও তিনি ছাত্রকে এমএস ডিগ্রি দিতে উদ্যোগী হন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করার সময়েও তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের তদন্ত হলে সত্যতা পাওয়া যায়। এহেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পরেও তিনি কিভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার হলেন এই প্রশ্ন শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অনেকেরই।জানা যায়, রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রশ্নে তিনি কোন দিকে তা অনেকের কাছেই পরিষ্কার নয়। তবে ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কর্মজীবনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সক্রিয়ভাবে কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার প্রমাণ নেই। এর পরেও একটি মহলের মদদে তিনি উপাচার্য পদে আসীন হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন।
এহেন অযোগ্য ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদে আসীন হলে শিক্ষার্থীরা কি শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে কিভাবে পরিচালনা করবেন?বাংলাদেশ সরকার ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করতে উচ্চ শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করছে। সরকারের এই বিপুল বিনিয়োগকে অর্থবহ করতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে উপযুক্ত নেতৃত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন । বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অধিকর্তা বিশেষত: উপাচার্য পদে উচু মানের গবেষক, সৎ ও আদর্শ শিক্ষককে নিয়োগ খুবই জরুরি।