পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করতে আইন সংশোধনের গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর এ পরীক্ষার ফল ঘোষণার তারিখ চূড়ান্ত হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “আইন সংশোধনের গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর আমরা ফল প্রকাশের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। মন্ত্রণালয় যেদিন অনুমোদন করবে, সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের ফলাফলের ভিত্তিতে এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে বলে জানান ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমিরুল।
একজন কর্মকর্তা জানান, এবার ফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা ভার্চুয়ালি হবে, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি তার বাসা থেকে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে থাকবেন কি না, এখনও তা চূড়ান্ত হয়নি।
১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে।
কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পরীক্ষা নেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মত এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না।
সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।
কিন্তু আইনে পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের বিধান থাকায় তা সংশোধন করে বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশের বিধান যুক্ত করা হয়েছে, যা রোববার জাতীয় সংসদের অনুমোদন পেয়েছে।