কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের দুই সহকারী মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও সাখাওয়াত হুসাইন রাজীকে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী। গতকাল রাতে এ দুই নেতা গ্রেফতার হন।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) তাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন হেফাজত মহাসচিব।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় একের পর এক হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ইফতারের আগ মুহূর্তে হেফাজতের সহকারী মহাসচিব ও লালবাগ মাদরাসার মুহাদ্দীস মুফতী সাখাওয়াত হুসাইন রাজীকে ডিবি পরিচয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে হেফাজতের আরেক সহকারী মহাসচিব ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এবং ইসলামবাগ মাদরাসার মুহতামিম মঞ্জুরল ইসলাম আফেন্দীকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'
হেফাজত মহাসচিব বলেন, পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। এই মাসে মানুষ ইবাদত বন্দেগী করে কাটায়। এই মাসে আলেম-উলামাদের এভাবে হয়রানি কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা সরকারকে বলব, অনতিবিলম্বে এসব গ্রেফতার বন্ধ করুন। মানুষকে ইবাদত বন্দেগীর সুযোগ দিন, এভাবে হয়রানি করবেন না।
এছাড়া ইতোপূর্বে গ্রেফতার হওয়া হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুফতী বশিরউল্লাহ, কেন্দ্রীয় সহকারী অর্থ সম্পাদক মুফতী ইলিয়াস হামিদী, সহকারী প্রচার সম্পাদক মুফতী শরীফউল্লাহসহ গ্রেফতারকৃত সব নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান হেফাজত মহাসচিব।