সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের খেজুরডাঙা আরকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ দুইজন কর্মী নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। গোপনে অন্য একটি বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমানের মাধ্যমে পরীক্ষা বন্ধ করে দেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে দুই নারীসহ ১১ জন বসে আছেন। তাঁদের কাছে পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রবেশপত্র ছিল। সেখানকার দায়িত্ব পালনকারী জনৈক হাবিবুর রহমান নিজেকে খেজুরডাঙা আরকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলে দাবি করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমানকে বসে থাকতে দেখা যায়। তিনি জানান, খেজুরডাঙা আরকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে একজনের স্থায়ীকরণ, একজন প্রহরী ও একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নিয়োগ পরীক্ষা এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরে গোপনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে জানালে তিনি নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে খেজুরডাঙা গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান সাজু বলেন, ‘পাঁচ মাস আগে পাতানো নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে একজন প্রহরী নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। মামলার কারণে ওই সময় পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। এখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে তিনজনের কাছ থেকে কমপক্ষে ৪০ লাখ টাকা নিয়ে পাতানো নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মী নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’
দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানজিদা আক্তার বলেন, ‘তাঁর বিদ্যালয়ে কোনো পরীক্ষা হওয়ার বিষয়ে অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে বিদ্যালয়ের চাবি নৈশপ্রহরী আল আমিনের কাছে থাকে। এ ব্যাপারে সেই ভালো বলতে পারবে।’
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, নিয়ম মেনেই নিয়োগ বোর্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে নির্দেশ পেয়ে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ওই পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।