বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে অলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৫ টায় নগরীর “কে.বি আব্দুল আজিজ মিলনায়তনে” বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লকিতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন।
প্রধান অতিথি ড. অনুপম সেন বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সবাইকে শিক্ষিত করা। জ্ঞান ও প্রযুক্তি দেশকে এগিয়ে নেয়। একজন শিক্ষক সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে। শিক্ষক সমাজের দাবীর সাথে একমত পোষণ করে তিনি বলেন, বৈষম্যের অবসানে রাষ্ট্রের মুখ্য দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের শিক্ষাকে যুগপোযোগী করতে বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক তৈরী করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা সুনীল চক্রবর্তী, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রশিক্ষক বিশিষ্ট শিক্ষা চিন্তক শামসুদ্দীন শিশির, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমুল মহাজনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নুরুল হক সিদ্দিকী, রনজিৎ নাথ, মোঃ ওসমান গনি, প্রদীপ কানুনগো, মোঃ জানে আলম, তাপস চক্রবর্তী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা দিতে সথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের দাবী জানান। শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারিকরণ এখন সময়ের দাবি। টেকসই উন্নয়ন সহ দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ না করে একযোগে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ একান্তই জরুরী হয়ে পড়েছে। সরকার ঘোষিত জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ সহ শিক্ষা ক্ষেত্রে সব বৈষম্য দূরীকরণ সহ শিক্ষকের অধিকার শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করণের আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো ও আইএলও’র যৌথ ঘোষণায় শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষায় বাংলাদেশ সহ বিশ্বের একশটির বেশি দেশ স্বাক্ষর করে এবং ওই বছর থেকে ৫ অক্টোবর দিবসটি পালন করা হয়। সাংগঠনিকভাবে দিবসটি উদ্যাপন করলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি উদ্যাপন করা হয় না।