চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই ছাত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের চার কর্মীর বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রীরা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে তারা হেনস্তার শিকার হন।
ওইদিন ঘটনাস্থল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম আরবি বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদকে আটক করে। তবে হাতেনাতে ধরেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন তারা। তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন রেখে দিয়ে প্রক্টরের কার্যালয়ে দেখা করতে বলেন। জুনায়েদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে আরও ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রুবেল হাসান, দর্শন বিভাগের ইমন আহাম্মেদ ও আর এইচ রাজু। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। পাশাপাশি ছাত্রলীগের উপপক্ষ সিএফসির কর্মী।
লিখিত অভিযোগে ওই দুই ছাত্রী বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর থেকে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে আসতেই ছাত্রলীগের ওই চারজন তাদের পথ আটকে দাঁড়ান। এত রাতে ক্যাম্পাসে আসায় জেরা করেন। আজেবাজে কথা বলেন। শিক্ষাবর্ষ বলার পর একজন তেড়ে আসেন। পরে প্রক্টরের গাড়ি দেখে তারা চিৎকার দেন। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি তাদের একজনকে ধরে, অন্য তিনজন দৌড়ে পালিয়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, 'ঘটনাটি শুনেছি, তবে ওই চার শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের রাজনীতি করে কিনা তা জানি না। অপরাধ করলে তাদের শাস্তি পেতে হবে।'
প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগপত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ওই চার ছাত্রের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ছাত্র উপদেষ্টা সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি সুপারিশ করবেন।