চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) এমফিল শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে একই প্রতিষ্ঠানের প্রভাষকের বিরুদ্ধে। ওই প্রভাষকের নাম মোহাম্মদ ঈসা চৌধুরী। তিনি চমেকের ডেন্টাল ইউনিটে কর্মরত। গত ২০ জুলাই চমেক অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ওই চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে দাঁতের চিকিৎসা করাতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী। ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, দাঁত ব্যথা হওয়ায় ২৬ জুন থেকে দন্ত চিকিৎসক ও চমেক প্রভাষক মোহাম্মদ ঈসা চৌধুরীর ব্যক্তিগত চেম্বার ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। ৭ জুলাই বিকালে ডা. ঈসা চৌধুরীর কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হন। সুবিচার চেয়ে বুধবার চমেক অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ গ্রহণের পর একইদিন অভিযুক্ত শিক্ষককে চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরে বদলি করার জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে চিঠি দেন চমেক অধ্যক্ষ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ডা. মোহাম্মদ ঈসা চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক নারী চিকিৎসককে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এসেছে। ঘটনায় চমেক চিকিৎসকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের উত্তেজনা প্রশমনে জরুরি ভিত্তিতে অভিযুক্ত ঈসা চৌধুরীকে চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরে বদলিপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে, এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। যদিও ঘটনাটি ক্যাম্পাসের বাইরের ঘটনা। তারপরও হয়রানির শিকার শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত চিকিৎসক যেহেতু চমেকের এ কারণে বিষয়টি আমি আমলে নিয়েছি। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে ঈসা চৌধুরীর মোবাইল ফোনে রিং দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। শনিবার বিকালে তার চেম্বারে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।