চাকরি স্থায়ীকরণ দাবিতে সপ্তম দিনের অবস্থানে সেকায়েপ শিক্ষকরা - দৈনিকশিক্ষা

চাকরি স্থায়ীকরণ দাবিতে সপ্তম দিনের অবস্থানে সেকায়েপ শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

চাকরি স্থায়ীকরণ অথবা এসইডিপি প্রকল্পে স্থানান্তরের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন বিলুপ্ত সেকায়েপ প্রজেক্টের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা (এসিটি)। সোমবার (৯ মার্চ) সকাল থেকে অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সপ্তম দিনের মত অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত  আবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

পরিষদের সভাপতি মো. রুহুল আমিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে সমাপ্ত সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টে (সেকায়েপ) নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষকদের (এসিটি) চাকরি স্থায়ী করার আশ্বাস দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এসব শিক্ষকদের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, সেকায়েপ প্রকল্পের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা প্রকল্পের মেয়াদ শেষে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কয়েক দফায় আন্দোলন করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল হকের দেয়া আশ্বাসের পরও ২৬ মাসে বিনা বেতনে পাঠদান করে চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি।  শিক্ষাবান্ধব সরকারের স্লোগান “মুজিববর্ষে কেউ থাকবে না বেকার”। তাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী শুরুর আগেই এসিটিদের চাকরি এসইডিপিতে স্থানান্তর বা স্থায়ীকরণের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানাচ্ছি। গত সোমবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সপ্তম দিনের অবস্থানে সেকায়েপ শিক্ষকরা | ছবি : রুম্মান তূর্য

শিক্ষকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে তিন বছর মেয়াদে সেকায়েপ প্রকল্পের অধীনে সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫ হাজার ২০০ জন বিষয়ভিত্তিক (ইংরেজি,গণিত ও বিজ্ঞান) অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। যারা কাজের মাধ্যমে প্রশংসিতও হয়েছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকল্প শেষে চাকরি স্থায়ীকরণের উল্লেখ ছিল। পরবর্তী প্রোগ্রামে স্থানান্তরের কথাও দেয়া হয়েছিল। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে গত ২৬ মাস ধরে এসিটিরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন। অপরদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আশ্বাসের কারণে এসিটিদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সও শেষ। আশ্বাস দেয়া কর্মকর্তারা কেউ বদলি হয়ে অন্য মন্ত্রণালয়ে গেছেন, কেউবা অবসরে গেছেন। কিন্তু যোগ্য শিক্ষকরা ভুগছেন।  

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সপ্তম দিনের অবস্থানে সেকায়েপ শিক্ষকরা | ছবি : রুম্মান তূর্য

এসিটিদের দাবি বয়স, অভিজ্ঞতা ও তাদের দ্বারা মাধ্যমিক পর্যায়ে বিশেষ অবদান এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে চাকরি স্থায়ীকরণ বা বিনাশর্তে দ্রুত এসইডিপি প্রোগ্রামে নেয়া হোক। সেকায়েপভুক্ত শিক্ষকরা এ বিষয়ে মুজিববর্ষকে সামনে রেখে মহান স্বাধীনতার মাসে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন এসিটিরা। 

এর আগেও আন্দোলনে নেমেছিলেন এসিটিরা। অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়, ভুল তথ্য দিয়ে সময়ক্ষেপণ, বিতর্কিত অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল হক ও শিক্ষা ক্যাডারের প্রিম রিজভীর দালালিসহ বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। শিক্ষকদের অভিযোগ, ভুল তথ্য আর সেকায়েপের কর্মকর্তাদের মিথ্যা আশ্বাস ও দালালি করার কারণে দাবি আদায় হয়নি। প্রথমে তারা এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। পরে ওই দাবি থেকে সরে এসেছেন। এসিটিদের দাবি, তাদের চাকরি স্থায়ীকরার আশ্বাস দিয়েছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব অতিরিক্ত সচিব ড. মাহমুদুল হক। দাবির বিষয়ে মানবন্ধন বা সংবাদ সম্মেলন বা সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলার মৌখিক নির্দেশও দিয়েছিলেন মাহমুদুল হকসহ বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কয়েকজন কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেকায়েপ শিক্ষকরা বলেন, যদি ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসেই আন্দোলনে নামা উচিত ছিল। মাহমুদুলের দালাল কৌশিকও শিক্ষকদের ভুল বুঝিয়েছেন। অনেক শিক্ষক ইতোমধ্যে অন্য চাকরি নিয়ে চলে গেছেন কিন্তু যাদের সরকারি চাকরির বয়স নেই তারা ভুগছেন।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0071010589599609