জয়পুরহাটের দুই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষক পদে চাকরির প্রলোভনে সাড়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সহকারী শিক্ষক ওয়াদুদ ফাররোখ এবং পাঁচবিবি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী শিক্ষক আমানউল্লাহর বিরুদ্ধে তিন ভুক্তভোগী নারী ও তাদের পরিবার এসব অভিযোগ তুলেছেন।
সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগকারী ওই তিন নারী হলেন, আক্কেলপুর উপজেলার কাশিড়া লক্ষ্মীভাটা গ্রামের মাহবুব আলমের স্ত্রী আলেয়া বেগম, এরশাদুল হকের স্ত্রী শারমিন আক্তার ও জয়পুরহাট সদরের জয়পার্বতীপুর দক্ষিণ কান্দি গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের মেয়ে নুরুননাহার। তাদের পক্ষে শারমিন আক্তার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
তিনি বলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়াদুদ ফাররোখ ও পাঁচবিবি উপজেলার ঢাকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমানউল্লাহ ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছে ৬ লাখ করে টাকা চায়। অগ্রীম বাবদ ব্যাংকের চেক দিয়ে তারা নিজ জনের কাছ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে ওয়াদুদ ফাররোখ শারমিনের কাছ থেকে দেড় লাখ ও নুরুননাহারের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা নিয়েছেন এবং আমানউল্লাহ আলেয়া বেগমের কাছে দেড় লাখ টাকা নিয়েছেন। এরপর আক্কেলপুর মুজিবুর রহমান কলেজের পেছনে একটি শিশু কল্যাণ স্কুলও চালু করা হয়। দেড় বছর ধরে স্কুলটি চলছে আর এ জন্য প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা ভাড়া ভুক্তভোগীরা দিচ্ছেন। চাকরি দিব-দিচ্ছি বলে তালবাহানা করে এবং টাকা ফের না দিয়ে নানা রকম হুকমি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, গত ৩১ মে জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে বিষয়েটি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে কোন প্রতিকার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করছেন। তারা আরও একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে প্রতারণা করে আসছেন।
এ ব্যাপারে ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সহকারী শিক্ষক ওয়াদুদ ফাররোখের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি প্রতিষ্ঠান করার জন্য টাকা নিয়েছিলাম। চাকরি দেওয়ার জন্য নয়। তারা যা অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা।
পাঁচবিবি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী শিক্ষক আমানউল্লাহ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শুধু আমি না এখানে ওয়াদুদ মাস্টারও আছে। তাদের কাছ থেকে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় করার জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম তৌফিকুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন