নোয়াখালীর মাদরাসার দুই শিক্ষক দুই শিশু শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পিটিয়েছেন। সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের দারুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদরাসার শিক্ষক আবুল কাসেম ও আবু বকর বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র আরমান হোসেন ও রিয়াজ হোসেন একটি কক্ষে আটকে ওই নির্যাতন চালান। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছার আগেই ওই দুই শিক্ষক মাদরাসা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। আরমানকে শুক্রবার রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে রিয়াজ। আরমানের বাবা আজাদ হোসেন ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানান, মঙ্গলবার ও বুধবার ওই মাদরাসার আবাসিক ছাত্রদের ৯টি মোবাইল ফোন ও ৫ হাজার টাকা বাক্সের তালা ভেঙে কে বা কারা নিয়ে যায়। এজন্য ছাত্র আরমান ও রিয়াজকে সন্দেহ করেন শিক্ষক আবুল কাশেম ও আবু বকর। পরদিন সন্ধ্যায় একটি কক্ষে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়। তাদের চিৎকার শুনে অন্যান্য শিক্ষক ছুটে আসেন। তারা সালিশ বৈঠকের কথা বলে দুই শিক্ষার্থীর হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দেন। এরপর অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়। আবুল কাশেম ও আবু বকরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।