বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ করে থাকে। তবে নিয়োগ বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ ও অন্যান্য আইনগত জটিলতায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বারবার স্থবির হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নিয়োগ প্রত্যাশী নিবন্ধনধারীদের। কারণ তাঁরা শিক্ষক হওয়ার সনদ দিয়ে অনিশ্চয়তায় সময় পার করছেন। অপেক্ষা করতে করতে অনেকের চাকরির বয়সও শেষ হয়ে গেছে, শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। মঙ্গলবার (১১ মে) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায় কার্যক্রমে স্থবিরতার কারণ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হিসেবে চেয়ারম্যানদের হুটহাট বদলি, যোগদানে অনিচ্ছুক, মামলায় জর্জরিত হওয়ার ভয়, যোগদান করলেও স্বল্প সময় অবস্থান এবং সুদূরপ্রসারী কার্যকর পরিকল্পনার অভাব। এর ফলে একটি নিয়োগ কার্যক্রম শুরু ও শেষ করতেই কয়েকবছর লেগে যাচ্ছে। যা শিক্ষাক্ষেত্রের নাজুক অবস্থা থেকে উত্তরণের অন্যতম অন্তরায়।
প্রায় ৭০ লাখ আবেদনকারীর কর্মযজ্ঞ চলমান থাকা অবস্থায় একজন চেয়ারম্যানের বদলি কতটা সমীচীন? তাছাড়া অনেক আইনি জটিলতা সমাধানের চলমান প্রক্রিয়াও তো বাধাগ্রস্ত হয়। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় যাতে সরকারের কোনো মহত্ কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। আমরা নিবন্ধনধারীরা আশা করি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাই বিষয়টি আমলে নিয়ে এনটিআরসিএ-র কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখবেন।
লেখক : মো. সান্ত আলী, কল্যাণপুর, ঢাকা ১২০৭