চেয়ারম্যানের বাধায় মাদরাসার নির্মাণ কাজ বন্ধ - দৈনিকশিক্ষা

চেয়ারম্যানের বাধায় মাদরাসার নির্মাণ কাজ বন্ধ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি |

হবিগঞ্জ বাহুবলে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের বাধায় বন্ধ হয়ে গেছে লোহাখলা ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসার নির্মাণ কাজ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রতিকার চেয়ে গত শুক্রবার রাতে বাহুবল সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছেন মাদরাসাটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাদির চৌধুরী।

অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, সম্প্রতি বাহুবল উপজেলার লোহাখলা গ্রামে  ‘লোহাখলা ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসা ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ কাজ চলছিল। কিন্তু কাজ শুরুর পর থেকেই রাস্তায় চলাচলে বাধা-নিষেধ প্রদান করে আসছেন বাহুবল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এ ব্যাপারে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বহুমুখী তৎপরতা চালিয়েও সফল হতে পারেননি। ফলে নির্মাণাধীন মাদরাসাটির কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টিকে ঘিরে এলাকার লোকজনের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বাহুবল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির চৌধুরী প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন করেছেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির চৌধুরী বলেন, মহিরা মাদরাসা স্থাপনের জন্য আমি আমার বাড়ির একটি অংশ দান করে দিয়েছি। কিন্তু বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান মাদরাসায় আসা-যাওয়ার রাস্তায় বাঁধা দিচ্ছেন। গ্রামবাসী অনুরোধ করলেও তিনি কারও কথা শুনছেন না। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ‘রাস্তা দেব না।’ যার কারণে মাদরাসা নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে। 

বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাদির চৌধুরী বিভিন্নভাবে আমার পেছনে লেগে আছেন। এখন নিজের বাড়িতে চারটি খুঁটি গেঁড়ে দাবি করছেন মহিলা মাদরাসা দেবেন। আমার বাড়ির ওপর দিয়ে রাস্তা দিতে হবে। আমি বলছি, মহিলা মাদরাসা দিলে নিরাপদ জায়গায় দিতে হবে। তিনি কথা শুনছেন না।

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0058889389038086