জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বীরনগর গ্রামে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্কুলের দপ্তরি কাম প্রহরী মেহেদী হাসানকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম মামুনকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত রাশেদুল ইসলাম মামুন বালিঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং বীরনগর গ্রামের মৃত আমিন উদ্দীনের ছেলে। আর অভিযুক্ত মেহেদী হাসান স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি-কাম প্রহরী এবং একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুন সন্ধ্যায় বীরনগর গ্রামে স্কুলের দপ্তরী-কাম-প্রহরী মেহেদী হাসানের বাড়িতে ওয়ার্কশিট নিতে যায় ছাত্রীটি। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ছাত্রীকে পাশের ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সে। পরে বাড়ি ফিরে বিষয়টি মা-বাবাকে জানায় ভুক্তভোগী ছাত্রী। এদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম মামুনসহ অনেকজন টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি আপোষ করার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারকে চাপ দেয়। এতে তারা রাজি না হয়ে সোমবার রাতে থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত দপ্তরি মেহেদী ও ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় ইউপি সদস্য মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
এ বিষয়ে পাঁচবিবি থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম সারওয়ার দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছিল। পরে স্কুলছাত্রীর পরিবার থানায় ধর্ষণ মামলা করলে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।