ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার একটি গ্রামে শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত নুরুল্লাহ ওরফে নুরুল হক। তিনি একই গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে।
ছাত্রীর মায়ের করা মামলা ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল ফোরকানিয়া মাদরাসার সুপার নুরুল্লাহ ওরফে নুরুল হকের কাছে গ্রামের অন্য ছাত্রীদের সঙ্গে প্রতিদিনের মতো আরবি পড়তে যায় ওই ছাত্রী। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছুটি শেষে ছাত্রীকে ডেকে এনে কক্ষ ঝাড়ূ দিতে বলেন সুপার। পরে দরজা বন্ধ করে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। এরপর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানায় শিশুটি।
একপর্যায়ে সুপারের ভাই ছফিউল্লাহকে বাড়িতে ডেকে এনে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানালে এর কঠিন বিচার করার নামে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। বিষয়টি গ্রামের গণ্যমান্যদের জানালেও কোনো সুরাহা করতে পারেননি তারা। ফলে গত ১৩ এপ্রিল কসবা থানায় সুপারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পরীক্ষা করে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। ওই দিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রথম শ্রেণির বিচারিক আদালতে মেয়েটির বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। অভিযুক্ত নুরুল্লাহ হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয় অনেকেই জানান।
ছাত্রীর বাবা বলেন, সুপার নুরুল্লাহর পরিবারের লোকজন তাদের হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে। এ বিষয়ে কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এসআই মোস্তফাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।