নওগাঁর ধামইরহাটে সরকারি এম.এম কলেজের ছাত্রী তানিয়া আক্তার (মিম) হত্যার বিচার ও তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ও সর্বস্তরের জনগণ। শনিবার পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ধামইরহাট উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, প্রভাষক মাহবুবুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা, নিহত মিমের মা শম্পা আক্তার, বাবা মিজানুর রহমান, চাচাতো ভাই মোতাব্বির রহমান, সহপাঠী সাদিয়া আক্তার, তুষার বাবু, রাজু আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজ উন্নয়ন কর্মী ইউনুছার রহমান মাস্টার, সামিউন ইসলাম, আব্দুল হান্নান, ইমার খান, সুজন কুমার, শাওন কুমার, মামুন হোসেন, বিপস্নব কুমারসহ অনেকে।
বক্তরা বলেন, গত ১৮ নভেম্বর পত্নীতলার অনুমোদনহীন নজিপুরে ইসলামিয়া ক্লিনিক ও ডিজিটাল ডায়গনস্টিক সেন্টারে রিসিপশনিস্ট হিসেবে কর্মরত কলেজছাত্রী তানিয়া আক্তার মিমের মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। বক্তাদের অভিযোগ, মিমকে ধর্ষণ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে ওই ক্লিনিকের মালিক নিজাম উদ্দিন বাবু। বলে এসময় বক্তারা নিজাম উদ্দিন বাবুকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান ।
বক্তারা আরও বলেন, এরপর এ ঘটনায় পত্নীতলা থানায় মামলা নেয়া হয়নি। পরিবারের লোকজনদের মিমের মৃতদেহ দেখতে দেয়া হয়নি। থানায় সাদা কাগজে মিমের বাবার স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। এগেলোসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে হত্যাকারীদের গ্রেফতারর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
মিমের মা সম্পা বেগম বলেন, পত্নীতলা থানায় মামলা না নেয়ার কারণে তারা আদলতে মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে পত্নীতলা থানার ওসি শামসুল আলম শাহ্ দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, থানায় মামলা না নেয়া বা ভিকটিমের পরিবারের সাথে খারাপ আচরণ করা অভিয়োগগুলো সঠিক নয়। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।