যশোরের সদর উপজেলার শাহাবাসপুর গ্রামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীর মা জায়েদা বেগম কোতয়ালী মডেল থানায় একই গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে সোহাগ আলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারটি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
অভিযোগে জায়েদা বেগম জানান, তার বাড়িটি গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মাঠপাড়ায় অবস্থিত। গত বুধবারের দিনের বেলায় তিনি ও তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তার মেয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে রুমে ঘুমাচ্ছিল। ওই অবস্থায় সোহাগ আলী তার রুমে ঢুকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার মেয়ে বাঁধা দিলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। মেয়ের চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এসে দরজা ভেঙ্গে তার মেয়েকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা আরও জানান, এলাকার মথুরাপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহাগ আলীর আত্মীয় ইউপি সদস্য শাহাজান আলী ওরফে কসাই শাহাজান অভিযোগটি প্রত্যাহার করে দিতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। থানায় অভিযোগ করে তার পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে গেছে। তিনি সুষ্ঠু বিচার পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সুকুমার কুন্ডু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ ধরণের একটি অভিযোগের তদন্ত আমি করেছে। ঘটনাটি সঠিক। আসামীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। বাড়িতে না পাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। অভিযান অব্যাবহত চলছে।
তবে, হুমকি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউনিয়র পরিষদ সদস্য শাহাজান আলী। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি ওই ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি নয়। তবে তারা দু’পক্ষই আমার কাছে মানুষ। মীমাংসা করার উদ্দেশ্যে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। ভুক্তভোগী পরিবারকে কোন হুমকি দেইনি।