ছয় মাসের ডিপ্লোমা ডিগ্রি নিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইসিটি শিক্ষক হওয়ার সুযোগ শেষ। ইতোমধ্যে নিবন্ধিত হয়ে থাকলেও এখন থেকে এমন প্রার্থীরা চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। এনটিআরসিএ এরই মধ্যে তাদের জাতীয় মেধাতালিকা থেকে বাদ দেয়া বা নিস্ক্রিয় করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
দৈনিক আমাদের বার্তার অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি শিক্ষক ও প্রভাষক পদে আবেদন করা প্রার্থীদের সনদের কপি ও শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য জমা নিচ্ছে এনটিআরসিএ। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাদের তথ্য ও সনদ জমা নেয়া হয়। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাইয়ের পর ছয় মাসের ডিপ্লোমা নিয়ে আইসিটি পদে নিবন্ধিতদের আবেদন বাদ দেওয়া হবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত বুধবার এনটিআরসিএর বোর্ড সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায়, এমপিও নীতিমালা অনুসারে আইসিটি বিষয়ের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছয় মাসের ডিপ্লোমা সনদ প্রযোজ্য নয় বলে মত মিলেছে। একই সঙ্গে জনবল কাঠামো অনুযায়ী সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে যেসব প্রার্থীর যোগ্যতার মিল নেই তাদের মেধা তালিকা থেকে বাদ দেয়া বা নিস্ক্রিয় করে রাখার সুপারিশ এসেছে।
আরও জানা গেছে, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আইসিটি শিক্ষক পদে আবেদন করা প্রার্থীদেরও সনদ যাচাই হচ্ছে। সর্বশেষ জারি হওয়া এমপিও নীতিমালা অনুসারে ছয় মাসের ডিপ্লোমা সনদধারী প্রার্থীদের আইসিটি শিক্ষক পদে প্রাথমিক সুপারিশ করা এড়াতে তথ্য যাচাই করবে এনটিআরসিএ। তাই আইসিটি শিক্ষক ও প্রভাষক পদে আবেদন করা প্রার্থীদের নিবন্ধন সনদ ও কম্পিউটার বা আইসিটি বিষয়ের সনদের সত্যায়িত কপি এনটিআরসিএর কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতেও ছয় মাসের ডিপ্লোমা নিয়ে আবেদন করে প্রার্থীরা সুপারিশ পাননি। দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে তথ্য গোপন করে আবেদন করে কিছু প্রার্থী প্রাথমিক সুপারিশ পেলেও চূড়ান্ত সুপারিশপত্র পাননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমরা নীতিমালার বাইরে কাউকে প্রাথমিক সুপারিশ করতে চাচ্ছি না। তাহলে প্রার্থীরা মামলা করতে পারেন। জটিলতা এড়াতেই সব যাচাই বাছাই করে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক নিয়োগের বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে ছয় মাসের ডিপ্লোমায় নিবন্ধিতরা আবেদন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু এমপিও নীতিমালা অনুসারে প্রার্থীদের সুপারিশ করা হবে। তাই আমরা আইসিটি পদে আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই করবো। তারপর সুপারিশ করা হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, ছয় মাসের ডিপ্লোমা নিয়ে আবেদন করা প্রার্থীদের সুপারিশ করা হলে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়। শিক্ষা প্রশাসন এটা এড়াতে চাচ্ছে।