জবিতে পছন্দের প্রার্থীর যোগ্যতা দেখে তৈরি হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি - দৈনিকশিক্ষা

জবিতে পছন্দের প্রার্থীর যোগ্যতা দেখে তৈরি হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের জন্য একটি নীতিমালা রয়েছে। সেখানে পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য যোগ্যতার শর্ত উল্লেখ করা রয়েছে। নীতিমালায় এ পদের জন্য কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক বা প্রকৌশল ডিগ্রি, সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে ১৮ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু গত বছর ২০ ডিসেম্বর এ পদের জন্য যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, তাতে শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী, প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে ২০ বছরের এবং পরিচালক বা প্রধান প্রকৌশলী পদে পাঁচ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। বয়স উল্লেখ করা হয় কমপক্ষে ৫৫ বছর। পরে এ পদে নিয়োগ পান শাহাদাত হোসেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল কয়েকজন কর্মকর্তা ও শিক্ষক জানান, শাহাদাত হোসেনের যেসব যোগ্যতা রয়েছে; নীতিমালা পাস কাটিয়ে সেসবের ভিত্তিতেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি তৈরি করা হয়। ফলে নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য বেশিরভাগ প্রার্থী আগেই বাদ পড়ে যান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নীতিমালার শর্ত পরিবর্তন করে দেওয়া বিজ্ঞপ্তির পরও চারজন আবেদন করেন। এর মধ্যেও 'শর্ত' পূরণ হয়নি যুক্তিতে দু'জনকে বাদ দেওয়া হয়। সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয় শুধু দু'জনকে- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী ওবায়দুল ইসলাম ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেনকে। শেষের জন চূড়ান্ত নিয়োগ পান।

ওবায়দুল ইসলাম সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে উপাচার্যের মতামতই বাস্তবায়ন হয়েছে। শাহাদাত হোসেন তৎকালীন উপাচার্য ড. মীজানুর রহমানের চাচাতো ভাই। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এ ছাড়া আলী রেজা নামে এক ঠিকাদার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও সচিবের কাছে তার নামে ৬১ পৃষ্ঠার দুর্নীতির অভিযোগ দেন। দুদকের তালিকায়ও তার নাম রয়েছে। নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগে থাকার সময় অবৈধভাবে সরকারি প্লট বরাদ্দ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বহিস্কার হয়েছিলেন।

নিয়োগ পাওয়ার পরপরই শাহাদাত হোসেনকে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন' প্রকল্পের পরিচালক করা হয়। সরকারের অধীনে পরিচালিত প্রকল্পে পরিচালক নিয়োগ দিতে হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেনকে প্রকল্প পরিচালক করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া গত ১১ মার্চ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় শাহাদাত হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া সমীচীন হয়নি বলে জানানো হয়।

শাহাদাত হোসেনের ভাষ্য, 'আমার নামে অনেক আগে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল; এখন নেই।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক পদে নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠি দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি ও নিয়োগ নীতিমালা ২০১২ সালে প্রথম অনুমোদিত হয়। ২০১৫ সালে তা নতুন করে প্রণয়ন করা হয়। এই নীতিমালার কোনো শর্ত পরিবর্তন করতে চাইলে তা সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু এ শর্ত মানা হচ্ছে না। একই পদে বিভিন্ন সময়ের বিজ্ঞপ্তিতে আসে ভিন্নতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অভিযোগ, পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে প্রার্থীর যোগ্যতা অনুযায়ী সাজানো হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা ভ্রুক্ষেপ করে না।

এ ছাড়া শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাবৎ একই নিয়োগ বোর্ড আছে বলে জানান কর্মকর্তারা। এখানেও রয়েছে পছন্দমতো প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে বোর্ড বিন্যাস না করার অভিযোগ। আবার এক বিভাগের শিক্ষক আরেক বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের এক্সপার্ট হওয়ায় উঠেছে প্রশ্ন। যেমন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সেলিম ভূঁঁইয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের এক্সপার্ট। তিনি লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক না হয়েও নিয়োগ বোর্ডের এক্সপার্ট হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা।

অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডগুলো পুনর্বিন্যাস করা জরুরি। এক বিভাগের শিক্ষক অন্য বিভাগের এক্সপার্ট- এটা কোনোভাবেই সমীচীন হয়নি। কেবল ওই বিভাগের জ্যেষ্ঠ ও দক্ষ শিক্ষকই প্রার্থী যাচাইয়ের ক্ষেত্রে প্রার্থীর মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও একাডেমিক জ্ঞান মূল্যায়ন করতে পারেন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক সেলিম ভূঁঁইয়া বলেন, 'যারা আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন তারাই ভালো বলতে পারেন।' ট্রেজারার পদে থেকে অতিরিক্ত সুবিধা নিয়েছেন কিনা- এ প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, 'এক বিভাগের শিক্ষক অন্য বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের এক্সপার্ট- এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এটা প্রথম জানলাম।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীর পদে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা বিআইটি থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (সিভিল) নূ্যনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ ডিগ্রি যোগ্যতা চাওয়া হয়। ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) ডিগ্রি যোগ্যতা চাওয়া হয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালায় কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (সিভিল) নূ্যনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ ডিগ্রি যোগ্যতার কথা উল্লেখ রয়েছে।

২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদায় প্রকৌশলী পদে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বা সমমানের পদে চার বছরের অভিজ্ঞতা; অথবা প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদায় প্রকৌশলী পদে ১৭ এবং উপপ্রধান প্রকৌশলী পদে ছয় বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালায় প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদায় প্রকৌশলী পদে ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে দুই বছরের অভিজ্ঞতা এবং উপপ্রধান প্রকৗশলী বা সমমান পদে ছয় বছরের অভিজ্ঞতা অথবা উপপ্রধান প্রকৌশলী পদে আট বছরের যোগ্যতার কথা উল্লেখ আছে। নীতিমালায় বা ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ক্ষেত্রে বলা হয়নি কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ৫৫ বছর দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তির একটির সঙ্গে আরেকটির শর্তের মিল নেই। পছন্দের প্রার্থীর যোগ্যতা অনুযায়ী দুটি বিজ্ঞপ্তি সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

২০১৯ সালে প্রধান প্রকৌশলী পদের জন্য ১২ জন আবেদন করেন। তাদের মধ্যে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইউনুস শরীফ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জামাল হোসেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী' হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি এবং ঢাকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়।

শেষে নিয়োগ পান হেলাল উদ্দিন। তার বাড়ি চাঁদপুর। শিক্ষক-কর্মকর্তা অনেকের অভিযোগ, আঞ্চলিক আধিপত্যের অংশ হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাবেক ও বর্তমান উপাচার্য কুমিল্লা-চাঁদপুর এলাকার লোকদের বেশি নিয়োগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী এই এলাকার।

তবে উপচার্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত ড. কামাল উদ্দিন বলেন, 'আমি একটি অংশমাত্র। পুরো নিয়োগটি সম্পন্ন করেছে নিয়োগ বোর্ড।'

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একজন সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ), তিনজন সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) এবং একজন সহকারী প্রকৌশলী (নেটওয়ার্ক) নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতার শর্ত যোগ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা দেওয়া হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে ১৯, ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল ছুটির দিন। ফলে অভ্যন্তরীণ অস্থায়ী চাকরিরত প্রার্থীরা ছাড়া কেউ আবেদন করার সুযোগ পাননি। ৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম সিন্ডিকেট সভায় সহকারী প্রকৌশলীর (বিদ্যুৎ) একটি পদের বিপরীতে দু'জন অস্থায়ী কর্মকর্তাকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা হলেন- অস্থায়ী উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা ও আনিসুর রহমান। এ ছাড়া সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) তিনজনের জায়গায় পাঁচজনকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা হলেন- অস্থায়ী উপসহকারী প্রকৌশলী মুহম্মদ ইউনুস মিয়া, শাহরিয়ার সুলতান, মুহিতুর রহমান শিমুল, গৌতম কুমার সিকদার এবং সহকারী প্রকৌশলী (নেটওয়ার্ক) অস্থায়ী উপসহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান সৈকত। উপসহকারী থেকে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতির জন্য চার বছরের অভিজ্ঞতা থাকার বিধান রয়েছে। কিন্তু তাদের কারও অস্থায়ী উপসহকারী পদেও দুই বছরের অভিজ্ঞতা পূরণ হয়নি। এদের মধ্যে মাসুদ রানা সাবেক উপাচার্য ড. মীজানুর রহমানের ভাইয়ের জামাতা এবং মাহাবুবুর রহমান সৈকত সম্পর্কে নাতি।

৮ মার্চ সহকারী মেকানিক, ইলেকট্রিশিয়ান, লিফ্‌ট অপারেটর, মেকানিক হেল্পার, অফিস সহকারীর ২৬টি পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতেও অতিরিক্ত শর্ত এবং শর্ত শিথিল করা হয়েছে। আবেদনের জন্য ছয় দিন সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস ছুটি ছিল। এসব পদে এখনও নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি।

২০১৯ সালের ৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩টি পদের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এ বিজ্ঞপ্তিতে কম্পিউটার প্রোগ্রামার পদে অতিরিক্ত শর্ত যোগ করা হয়েছে। উপসহকারী প্রকৌশলী ৮টি পদে নিয়োগ নীতিমালা থেকে শর্ত শিথিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪র্থ শ্রেণির ৫৪টি পদে নীতিমালা মানা হয়নি।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) ১০টি পদে এবং সেকশন অফিসার ( গ্রেড-২) দুইটি পদের শর্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।

২০১৪ সালের ৩ আগস্ট প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) একটি পদে অতিরিক্ত শর্ত যোগ করা হয়েছে। আবার ২০১৩ সালের ১৪ অক্টোবর প্রকাশিত সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) চারটি পদে অভিজ্ঞতা আবশ্যক করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত পরিবর্তন এবং নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও আঞ্চলিকতার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051548480987549