একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নজরুল গবেষক জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারাযান।
এক শোকবার্তায় ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বরেণ্য বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মৃত্যু উচ্চশিক্ষা পরিবারের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বও অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গভীর আস্থাশীল একজন অভিভাবককে হারালো।
ইউজিসি চেয়ারম্যান মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান শোকবার্তায়।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর পেটের ব্যথা নিয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করাহয় এই জাতীয় অধ্যাপককে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর ফুসফুসে পানি ধরা পড়ে। পরে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গত শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) তাকে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়ার জন্য ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়।
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম একুশে পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই সময়ের কিছু দুর্লভ আলোকচিত্রও তুলেছিলেন তিনি। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের এই প্রত্যক্ষ সাক্ষী সেসব ইতিহাস গ্রন্থিত করেছেন তাঁর লেখায়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে প্রথম গ্রন্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাসের প্রথম গ্রন্থটিসহ প্রায় ৩০টি গ্রন্থ রচনা এবং সম্পাদনা করেছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালকও ছিলেন তিনি।