জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামালের বাড়িতে ডাকাতি - দৈনিকশিক্ষা

জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামালের বাড়িতে ডাকাতি

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ডাকাতি হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দলের কান্ডারি জামাল ভূঁইয়ার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে। ডাকাতরা লুট করেছে স্বর্ণলঙ্কার ও নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। পরিবারের অভিযোগ ডাকাতি হলেও স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, এটি দুই পক্ষের মারামারি। ডেনমার্ক থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন জামাল।

জামাল ভূঁইয়ার পরিবারের অভিযোগ, সপ্তাহখানেক আগে বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ১০-১২ জনের একটি দল নান্দাইল উপজেলার জামাল ভূঁইয়ার পৈত্রিক বাড়িতে হামলা করে। প্রথমে ৭-৮ জনের একটি দল একযোগে বাড়িতে ঢুকে পথের বেড়া (দেউড়ি), বারান্দার গ্রিল, স্টিলের দরজায় এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। ৩-৪ জনের একটা দল বারান্দার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে। তারপর দরজা ভেঙে মূল ঘরে প্রবেশ করে। আলমারিতে থাকা স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে তারা।

ভাঙচুর এবং কোপাকুপির প্রচণ্ড শব্দে বাড়ির মানুষ সজাগ হয়ে যায় এবং তাদেরকে ডাকাতিতে বাধা দিলে ডাকাতরা জুনায়েদ ভূঁইয়া (জামাল ভূঁইয়ার চাচাতো ভাই) ও জিন্নাহ ভূঁইয়াকে (জামাল ভূঁইয়ার চাচা) প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

হামলা-লুটপাটের সঙ্গে বাড়ির সামনে টাঙানো জামাল ভূঁইয়ার ছবিগুলোও রক্ষা পায়নি ডাকাতদের হাত থেকে। রাম দা-ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ছিঁড়েও ফেলা হয়েছে। জামাল ভূঁইয়ার চাচতো ভাই জুনায়েদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আগে থেকেই জামাল ভূঁইয়াকে খ্রিষ্টান বলে অনেক গালিগালাজ করত দুর্বৃত্তরা। খ্রিষ্টানের অস্তিত্ব তাদের গ্রামে রাখবে না এবং ছবি কেন টাঙিয়ে রাখা হয়েছে এটা নিয়েও গালাগাল করত তারা। যেদিন রাতে ডাকাতি করে সেদিন ছবিগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং বাড়িতে হামলা করে।’

ঘটনার পরদিন ৩রা এপ্রিল ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। জানা গেছে, হামলাকারীদের চেনে জামালের পরিবার। এমন হামলা নাকি আগেও হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল। ছুটি কাটাতে জামাল ভূঁইয়া রয়েছেন ডেনমার্কে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘ডাকাত আমার গ্রামের বাড়িতে এসে গেট ভেঙে ঘরে ঢোকে। আলমারি ভেঙে নিয়ে গেছে টাকা ও স্বর্ণলঙ্কার। ওখানে থাকা আমার পরিবার ডাকাতদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে। আমার পরিবারের লোকজন ডাকাতদের চেনে। কিন্তু এখনো পুলিশ ডাকাতদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032989978790283