প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জাতীয়করণের ঘোষণা পাবেন এমনটাই আশা করেছিলেন তৃতীয় ধাপে বাদপড়া প্রাথমিকের শিক্ষকরা। কিন্ত গত ১৮ দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করেও প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস না পাওয়ায় মর্মাহত প্রাথমিকের শিক্ষকরা।
বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে গত ২১শে জানুয়ারি থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষকরা। দুই দিন অবস্থান ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এরপর ২৩শে জানুয়ারি থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। এরপরও সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায়ে ইতিবাচক সাড়া মিলছে না শিক্ষকদের। গত কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েক দফা দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মোঃ কামাল হোসেন দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘আমরা প্রধানন্ত্রীর কার্যালয়ে বেশ কয়েকবার গিয়েছি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। সেখান থেকেও আমরা কোন সাড়া না পেয়ে আমরা মর্মাহত। গত ১৮ দিন শিক্ষকরা রাস্তায় দুর্বিষহ দিন পার করছেন। এরমধ্যে মঙ্গলবার (৬ই ফেব্রুয়ারি) রাতে আইন শৃ্ঙ্খলা অবনতির আশঙ্কতায় আমাদের অনশন কর্মসূচির মাইক বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুসারে ২৭ মে ২০১২ তারিখের আগে যে সব বিদ্যালয়ের নিজ নামে জমি অধিগ্রহণ করা হয় সেসব বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে। এখানে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে এসব বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের আওতায় আনতে হবে।
সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আসম জাফর ইকবাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ঘোষণার মাধ্যমে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মতে সব শর্ত পূরণ করলেও ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি।