মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
সোমবার সকালে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলার মূল সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে শেষ হয়। এর আগে সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা কর্মসূচিতে অংশ নিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হন।
উপজেলা শিক্ষক কমিটি সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন পরিষদের সমন্বয়ক মো. শফিকুল ইসলাম, মো. ইয়াকুব আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম, মহরম হোসেনসহ অনেকে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার প্রায় ৯৫ শতাংশ পরিচালিত হয় বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারী দ্বারা। কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর সঙ্গে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে পাহাড়সম বৈষম্য বিরাজমান। যা পুরো জাতিকে হতাশ করে। এই বৈষম্য দূর করে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদেরও সমান সুযোগ-সুবিধা দেয়া নৈতিক দাবী। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান।
জাতীয়করণের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বক্তারা আরো বলেন, একই কারিকুলামে, একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। এবার দাবি আদায় না করে আমরা ফিরবো না। ২০৪০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা এখন সময়ের দাবি। এসময় শিক্ষক কর্মচারীদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জন করে ৪টা পর্যন্ত স্কুলে অবস্থান করার আহ্বান জানানো হয়।