চলতি মাসে দেশে শীতের তীব্রতা থাকবে। মাসের অধিকাংশ সময়জুড়ে শৈত্যপ্রবাহের আধিপত্য থাকবে। বয়ে যাবে দু’ থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ। তারমধ্যে থাকবে এক থেকে দু’টি মাঝারি অথবা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা উঠা-নামা করলেও কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে অনুভূত হবে তীব্র শীত। শনিবারও দেশে অনুভূত হয় মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শীত। কুয়াশার কারণে জল ও স্থলপথে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। তবে আগামী তিনদিন রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩টি মাঝারি ও তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি/ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হাল্কা/মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আর ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ওই মাসের প্রথমার্ধে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ১টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ওই মাসের প্রথমার্ধে দেশের নদ-নদীর অববাহিকা ও অন্যত্র সকালের দিকে হাল্কা/মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা আছে । দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ১/২ দিন বজ্রঝড় হতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা সামান্য বেড়েছে। ঘন কুয়াশায় ওপরে উঠতে পারছে না জলীয় বাষ্প। শিশির ভেজা মাটি শুকিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে না। মাঝে মধ্যে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও উত্তাপ থাকে না। দিনের অধিকাংশ সময় কুয়াশার চাদরে মোড়ানো থাকে আকাশ। চলতি মাসে শীতের তীব্রতা বাড়বে।
এই মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা। সূত্রটি আরও জানায়, শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সীতাকুণ্ড ও রাঙ্গামাটিতে ২৯.৫ এবং সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ৭.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। আর ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় যথাক্রমে ২৭.৪ ও ১৫.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।