জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায়অংশগ্রহণ করতে একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে এ, বি, সি, ডি ও ই ইউনিটের পরীক্ষার যেকোনরএকটিতে বসতে দুই ধাপে দিতে হবে ১১৫৫ টাকা করে এবং অন্যান্য ইউনিটগুলোর ক্ষেত্রেদিতে হবে ৭৫৫ টাকা করে, যা গত শিক্ষাবর্ষের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
আরও পড়ুন : দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
বাংলাদেশ ছাত্রইউনিয়ন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ জনগণের টাকায় পরিচালিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এরূপ জনবিমুখ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ।
এক যুক্ত বিবৃতি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তুষার ধর ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, করোনায় দেশের অধিকাংশ মানুষ যখন অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত, তখন ভর্তি পরীক্ষার ফরমের মূল্য না কমিয়ে উল্টো দ্বিগুণ করবার জাবি প্রশাসনের এমন মুনাফালোভী সিদ্ধান্ত দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বার স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে দিবে।
তারা আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি উচ্চমাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার জিপিএ’র ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় বসবার যোগ্যতা নির্ধারণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ মনে করে এ ধরণের সিদ্ধান্তের ফলে প্রকৃত মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।
দৈনিক শিক্ষা পরিবারের নতুন সদস্য ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
প্রথমত, করোনা অতিমারীর কারণে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে।
দ্বিতীয়ত, একথা সর্বজনবিধিত যেগ্রাম, দুর্গম ও পার্বত্য অঞ্চল ও দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা স্বচ্ছল পরিবার ও শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের তুলনায় শিক্ষার সুযোগ পায় কম। যথাযথ মেধা যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ জিপিএ প্রাপ্ত না হওয়া সত্ত্বেও একজন শিক্ষার্থী তাঁর মেধার প্রমাণ দিতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ছাত্রইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ নিম্নোক্ত দাবিসমূহ উপস্থাপন করছেঃ
১। ভর্তি পরীক্ষার ফি অনধিক ৩০০টাকা হতে হবে।
২। উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষারফলাফলকে ভর্তি পরীক্ষায় বসবার যোগ্যতা হিসেবে গণ্য করা যাবে না।