জাল সনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন শুরু করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য জাল সনদ যাচাইকারী সংস্থাগুলোর তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে ফের পাঠাতে বলেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিআইএ)। সংস্থাগুলোর তথ্য থেকে জাল সনদের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।
গত বৃহস্পতিবার জাল সনদগুলোর বিষয়ে নিশ্চিত হতে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নিরীক্ষা ও আইন শাখার যুগ্মসচিব মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস।
প্রসঙ্গত, দৈনিক আমাদের বার্তা ধারাবাহিকভাবে জাল সনদধারী শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করছে। এ অবধি ১০টি পর্ব প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা প্রকাশ শুরুর পর সারাদেশে শুরু হয় তোলপাড়। নড়েচড়ে বসে শিক্ষা প্রশাসনও। এমন পরিস্থিতিতে জাল সনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সভা সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানায়, ডিআইএ কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে যেনো তারা শিক্ষকদের তালিকার সঙ্গে তাদের সনদগুলোর যেসব সংস্থা যাচাই প্রতিবেদন পাঠিয়েছে, সেগুলোর স্মারক অন্তর্ভুক্ত করে পাঠায়। স্মারক নম্বরগুলো পেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহজেই সনদ জাল হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হবে। পরে জাল সনদধারীদের তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সচিবের কাছে উপস্থাপন করবে। সচিব পর্যায়ে অনুমোদনের পর শুরু হবে অ্যাকশন।
সভায় অংশ নেয়া একজন কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, যারা আসলেই জাল সনদ নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন তারা আর চাকরি করতে পারবেন তো না-ই, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা (ক্রিমিনাল কেস) হবে। এমনকি তাদের এমপিও বাবদ নেয়া সব টাকা ফেরত নেয়া হবে। জাল সনদধারীদের পক্ষে আসা কোনো রিকোয়েস্ট শোনা হবে না।
সারাদেশের ১ হাজার ১৫৬ জন জাল সনদধারী শিক্ষকের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলো ডিআইএ। ডিআইএর চিহ্নিত করা জাল সনদধারীদের মধ্যে ৮১৭ জন বিভিন্ন সাধারণ স্কুল-কলেজে কর্মরত। ৩৩৯ জন আছেন বিভিন্ন মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। স্কুল-কলেজে কর্মরত ৮১৭ জনের জাল সনদ নিশ্চিত হতে বৃহস্পতিবার সভার আয়োজন করা হয়েছিলো।