জাল সনদ দিয়ে চাকরি নেবার অভিযোগে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ধারালিয়া সৈয়দ বজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এমএ, বিএড এবং এমএড পরীক্ষার জাল সনদপত্র দিয়ে চাকরি নেবার অভিযোগে তাকে এর আগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাকে স্থায়ী বরখাস্ত করার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অনুমোদনপত্র গত রোববার বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আপীল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটির কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম খান জানান, ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে প্রধান শিক্ষকের পদে চাকরি নেন মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তার সার্টিফিকেট নিয়ে সন্দেহ হলে তা যাচাইয়ের জন্য ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ আগস্ট রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা এবং দারুল ইহসান বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবরে চিঠি দেয়া হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহামুদা বেগম লিখিতভাবে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ইংরেজিতে এমএ পরীক্ষায় সিজিপিএ ৩.৪২ এর সার্টিফিকেট জাল। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে এমএ কোর্স বর্তমানে নেই এবং পূর্বেও ছিল না। অপরদিকে ঢাকার দারুল ইহসান বিশ^বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন বিএড এবং এমএড পরীক্ষা দেননি বলে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে।
তরিকুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করার পর কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে ৭ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে কারন দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছিল। কিন্ত জাহাঙ্গীর হোসেন কারণ দর্শানোর জবাব না দিয়ে তাকে হয়রানি করার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গঠিত কমিটির প্রতিবেদনেও জাহাঙ্গীর হোসেনের এমএ, বিএড এবং এমএড সনদপত্র জাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনাবস্থায় গত রোববার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।