জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এমপিওভোগ করার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, একটি জাল সনদ ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ পেয়ে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে অবৈধভাবে এমপিওভোগ করছেন তিনি। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তার সনদটি যাচাই করতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের অফিসে পাঠিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি দাবি করেছেন তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে অর্জিত। যা নিয়ে তিনি পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং বিষয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর পদে যোগদান করেছিলেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছেন। অভিযোগ আছে তিনি জালিয়াতি করে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এমপিওভোগ করছেন। তিনি যে সনদটি ব্যবহার করে এমপিওভোগ করছেন তার রোল নম্বর ১৪১১০০০৬।
সূত্র আরও জানায়, বিষয়টি লিখিতভাবে এনটিআরসিএ জানিয়ে তার সনদটি যাচাই করে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর সনদ যাচাই প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দৈনিক শিক্ষডটকমের অনুসন্ধানে নিবন্ধিত প্রার্থীদের জাতীয় মেধাতালিকায় মো. আশরাফ আলীর শিক্ষক নিবন্ধন সনদটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তার সনদের রোল নম্বর ১৪১১০০০৬ দিয়ে পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং বিষয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর পদের জন্য নিবন্ধিতদের তালিকায় অনুসন্ধান করা হলে সনদটি পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।