জালিয়াতি করে ডিজির প্রতিনিধির নাম পরিবর্তন করে একটি মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এমপিও আবেদনের কাগজপত্র যাচাই করে বরগুনা সদর উপজেলার পূর্বহাজারবিঘা বটতলা সিনিয়র মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ নিয়োগে এ জালিয়াতি ধরা ফেলেছেন মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। জালিয়াতি করে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সালামের এমপিও স্থাগিত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তাকে শোকজ করা হয়েছে।
একই অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও জালিয়াতি করে প্রতিস্থাপিত ডিজির প্রতিনিধির বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের শেষ দিকে পূর্বহাজারবিঘা বটতলা সিনিয়র মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ নিয়োগে ডিজির প্রতিনিধি চেয়ে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে অনলাইনে আবেদন করে অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সালাম। পরে ২০ ডিসেম্বর ঢাকার সরকারি মাদরাসা ই আলিয়াার সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম খানকে এ নিয়োগের ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে আদেশ জারি করে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। পরে জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া উপাধ্যক্ষকে এমপিওভুক্ত করতে অনলাইনে আবেদন করা হয়।
সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, এমপিও আবেদন যাচাইয়ে এ জালিয়াতি ধরা পড়েছে। এমপিওভুক্তির কাগজ পত্রে দেখা গেছে জালিয়াতি করে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ করতে ডিজির প্রতিনিধি পরিবর্তন করা হয়েছে। নিয়োগের কাগজে দেখা গেছে ডিজি প্রতিনিধি দেখানো হয়েছে বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সালামকে। কিন্তু মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নথীতে দেখা গেছে ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে আসলে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ঢাকার সরকারি মাদরাসা ই আলিয়াার সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম খান।
মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দাখিল করা কাগজ পত্রে ডিজির প্রতিনিধির নাম ও তারিখ প্রতিস্থাপন করে জালিয়াতি করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে কাগজ পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মাদরাসায় ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগে সরকারি কলেজের শিক্ষকদের ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়ন দেয়া হয়না। এ নিয়োগে বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে ডিজির প্রতিনিধি দেখানো হয়েছে। যা মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা চিঠি না। এতে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় জালিয়াতি করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, জালিয়াতি করে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ায় মাদরাসার অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সালামের এমপিও স্থাগিত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রচলিত নিয়ম অনুসারে তাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজে কেন অধ্যক্ষসহ নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের এমপিও স্থগিত করা হবে না এবং সভাপতির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ৮ মার্চের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে অধ্যক্ষকে।
এদিকে অবৈধভাবে ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ কমিটিতে উপস্থিত থাকায় বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা মো. আবদুস সালামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে এ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকেও শোকজ করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।