জালিয়াতি করে এমপিওভুক্ত সেই অধ্যক্ষের ইনডেক্স বাতিল হচ্ছে - দৈনিকশিক্ষা

জালিয়াতি করে এমপিওভুক্ত সেই অধ্যক্ষের ইনডেক্স বাতিল হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ভুয়া ইনডেক্স দেখিয়ে জালিয়াতি করে এমপিওভুক্ত হয়েছেন রাজধানীর টিএন্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মহসিন হোসেন। ভুয়া ইনডেক্স নম্বর দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হলেও এর আগে তার কোন ইনডেক্স ছিলনা। এমপিওভুক্ত হতে অধ্যক্ষের এ জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। তাই, তার ইনডেক্স বাতিলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জালিয়াতি করে এমপিওভুক্ত হয়ে প্রায় ১ বছর অবৈধভাবে সরকারি টাকা ভোগ করেছেন তিনি। তার এমপিও কেন স্থায়ীভাবে বাদিণল করা হবে না তা জানতে চেয়ে অধ্যক্ষ মহসিনকে শোকজ করা হয়েছে। শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগের পর গত নভেম্বর মাসে এমপিওভুক্ত হন অধ্যক্ষ ড. মো. মহসিন হোসেন। যথাযথ যোগ্যতা না থাকার পরও তাকে রাজধানীর টিএন্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে কলেজের গভর্নিং বডির সুপারিশের আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মহসীন হোসেনকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের অনুমতি দেন। সে আলোকে একই বছরের ৩০ জুন অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু তিনি যে এমপিওভুক্তির ইনডেক্স ব্যবহার করেছেন তা ভুয়া। আসাদুল হক নামের আরেক শিক্ষকের ইনডেক্স নম্বর তিনি ব্যবহার করেছেন। তথ্য গোপন করে অধ্যক্ষ পদে এমপিওর আবেদন করলে আবেদন ফিরিয়ে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এমপিও না দেয়ায় উচ্চ আদালতে রিট মামলা করেন মহসীন। পরে, এমপিওভুক্ত হন।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, প্রথমে এমপিওর আবেদনে ইনডেক্স নম্বর দেননি তিনি। পরে যখন এমপিওর ইনডেক্স নম্বর চাওয়া হয় তখন তিনি এমপিও শিট জমা দেন। তবে সেটি অন্য জনের বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কয়েকটি সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, ফরিদপুর সিটি কলেজের ননএমপিও পদে চাকরির সাত বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। আর জিপিএ-৫ বাণিজ্যে অভিযুক্ত কুখ্যাত ক্যামব্রিয়ান কলেজের পাঁচ বছরের চাকরিকে অভিজ্ঞতা আছে। এরপর প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগ নিয়ে ভুয়া ইনডেক্স দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছেন তিনি।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, টিএন্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মহসিন হোসেনের এমপিওভুক্তি নিয়ে অভিযোগ উঠলে তা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে। গত জুন মাসে অধিদপ্তর শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রনণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠায়। এতে বলা হয়েছে, ভুয়া ইনডেক্স নম্বর দেখিয়ে অধ্যক্ষ গত নভেম্বর মাসে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এ পদে এমপিওভুক্ত হওয়ার আগে তার কোন ইনডেক্স ছিল না।

অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, অভিযোগ প্রমাণ পাওয়ায় অধ্যাপক ড. মো. মহসিন হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের বেতন বা এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। আর জালিয়াতি করে এমপিওভুক্ত হওয়ায় তার এমপিও কেন বাতিল করা হবে না-তা জানতে চেয়ে শোকজ করা হয়েছে। 

যদিও ভুয়া ইনডেক্স দিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ার পর অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে অধ্যাপক ড. মো. মহসিন গত ডিসেম্বরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন,  একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.005803108215332