প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় কারাগারে থাকা কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক দিলরুবা বেগম ঝুমার বিরুদ্ধে চাকরি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদী খোরশেদ আলম।
বুধবার (৩ অক্টোবর) তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এ দাবি জানিয়ে লিখিত আবেদন করেন।
জানা গেছে, সরকারিকৃত কলেজের প্রভাষক হয়েও নীতিমালা লঙ্ঘন করে ছিন্নমুকুল বাংলাদেশ নামের একটি সংস্থার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হয়েছিলেন দিলরুবা। এরপর সংস্থাটির সাইন বোর্ড ব্যবহার করে অনৈতিকভাবে অর্থ উপার্জনসহ বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পরেন বলে অভিযোগ ওঠে এ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রভাষক দিলরুবা বেগম কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ ও কুড়িগ্রাম জেলা সমাজসেবা অফিসের সাবেক উপপরিচালক যোবায়ের আহমেদের স্বাক্ষর জাল করেন। এঘটনায় কুড়িগ্রাম ২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিনের পক্ষে উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের খোরশেদ আলম বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় দিলরুবা বেগম উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন।
পরে ২১ অক্টোবর তিনি কুড়িগ্রাম সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি জেল হাজতে আছেন।
মামলার বাদী খোরশেদ আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, দিলরুবা বেগম ঝুমার বিরুদ্ধে আরও একটি প্রতারণার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বিভিন্ন পদ-পদবী ব্যবহার করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আমি চাকরি বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন দাখিল করেছি।
সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম রানা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, দিলরুবা বেগমকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার এমপিও বন্ধসহ তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, মীর ইসমাইল হোসেন কলেজে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৮ আগস্ট থেকে সরকারি ঘোষণা করা হয়।