ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জিপিএ-৫ ও পাসের হারে ভালো ফল করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৮৬ জন ছাত্রছাত্রী। উপজেলায় শুধু এসএসসিতে পাসের হার ৯১ দশমিক ০৪, দাখিলে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩১ এবং একটিমাত্র সরকারি ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠানের পাসের হার ৯২ দশমিক ৩১। একটি বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। সর্বোচ্চ ৩২টি জিপিএ-৫ পেয়েছে আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর আখাউড়া উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২ হাজার ১৫৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এক হাজার ৯৬০জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। অকৃতকার্য হয়েছে ১৯৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫২জন। পাসের হার ৯১ দশমিক ০৪। সাতটি মাদরাসা থেকে ২৯৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ২৮০ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ১৪ জন। দাখিলে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩১। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৮ জন। এছাড়া উপজেলার একটি সরকারি ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৮ জন পরীক্ষা দিয়ে ৭২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ফেল করেছেন ৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ৩১। উপজেলার নূরপুর রুটি আ. হক ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬০ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাস করেছেন।
এদিকে সবচেয়ে বেশি ৩২টি জিপিএ-৫ পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে উপজেলার নাছরীন নবী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। ২৮ জিপিএ-৫ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় ২৫ টি জিপিএ-৫ পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এরপরেই রয়েছে তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ১৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে পাসের হার এবং জিপিএ- ৫ এর দিকে থেকে হতাশ করেছে পৌরশহরের প্রাচীন বিদ্যালয় দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের মাত্র ৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হার ৮৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। আখাউড়া টেকনিক্যাল ইসলামিয়া মাদরাসার ১৫ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। মাদরাসাতু ছালেহা খাতুন দাখিল মাদরাসার ১০ জন জিপিএ-৫ পেয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।