টাইমস্কেল জটিলতা নিরসন চান জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকরা - দৈনিকশিক্ষা

টাইমস্কেল জটিলতা নিরসন চান জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

টাইম স্কেল ও জ্যেষ্ঠতা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ৪৮ হাজারের বেশি শিক্ষককে দেওয়া টাইমস্কেলের টাকা ফেরত নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে জারি করা অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি বাতিল এবং কার্যকর চাকরিকালের ৫০ শতাংশ ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। একইসাথে কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া বাত্বরা প্রধান শিক্ষকদের গেজেটভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। এসব দাবি আদায়ে আগামী ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকরা।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষকরা। জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

শিক্ষক দাবিগুলো হচ্ছে-অধিগ্রহণকৃত ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিধিমালা-২০১৩’ এর বিধি অনুযায়ী কার্যকর ৫০ শতাংশ চাকরিকালের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা প্রদাম, ৪৮ হাজার ৭২০ জন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উত্তোলিত টাইম স্কেলসংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান এবং এ সংক্রান্ত ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ আগস্টের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পত্রটি বাতিল এবং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসএমসি কর্তৃক নিয়োগ করা প্রধান শিক্ষক হিসাবে যাদের নাম গেজেট থেকে বাদ পড়েছে তাদের গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চাকরিকাল গণনা করে আইন অনুযায়ী শিক্ষকদেরকে টাইম স্কেল দেওয়া হয়। কিন্তু গতবছর অর্থ মন্ত্রণালয় তা ফেরত প্রদানের ব্যাপারে পত্র জারি করে। ফলে প্রায় ৪৯ হাজার শিক্ষক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষক টাইম স্কেলসহ অন্য সুবিধাদি ভোগ করে মৃত্যুবরণ ও অবসর নিয়েছেন। এখন সব শিক্ষক বিপাকে পড়েছেন। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস শিক্ষকদেরকে অর্থ ফেরতে চাপ দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ বিধিমালা) ২০১৩ বিধির ভুল ও মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যেমন অধিগ্রহণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের উল্লিখিত বিধান অনুযায়ী কার্যকর ৫০ শতাংশ চাকরিকালের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ, পদোন্নতি, সিলেকশন গ্রেড এবং প্রয়োজনীয় টাইম স্কেল প্রাপ্য হয়ে আসছিলাম। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের জ্যেষ্ঠতার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক নেতা আব্দুর রহমান বাচ্চু, শেখ আবদুস সালাম মিয়া, মাহবুবুল আলমসহ অনেকে।

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0044279098510742