বেসরকারি আমলে চাকরিকাল গণনা করে ২০১৩-২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অধিগ্রহণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইমস্কেল বাবদ দেয়া টাকা ফেরত নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে টাকা ফেরত নেয়ার নির্দেশ দিয়ে জারি করা এই চিঠির প্রত্যাহার দাবি করেছেন শিক্ষকরা। গত ১২ আগস্ট প্রকাশিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি প্রত্যাহারের দাবিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষকরা।
আজ রোববার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসের কার্যালয়ে এনিয়ে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে স্মারকলিপি প্রদান করেন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট রাজশাহী জেলা শাখার নেতারা।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের জন্য চাকরিকাল গণনা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদির প্রাপ্যতায় গত ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পত্র জারি করে। সেই পত্রটি প্রত্যাহারের দাবি জানান প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের নেতারা।
তারা জানান, অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরি শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা ২০১৩ অধীনে ৫০ শতাংশ চাকরিকাল গণনা করে, জ্যৈষ্ঠতা, পদোন্নতি সিলেকশন গ্রেড এবং প্রযোজ্য টাইমস্কেল, প্রাপ্যতার কথা থাকলেও তা প্রদান করা হচ্ছে না।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের প্রাপ্ত টাইমস্কেলের জটিলতা নিরসন না করে গত ১২ আগস্ট (২০২০) অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত টাইমস্কেলের কর্তনের পত্রটি বাতিল করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি লিয়াতক কাদির কুমকুমসহ অন্যান্য নেতারা।
জানা গেছে, বেসরকারি আমলে চাকরিকাল গণনা করে ২০১৩-২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অধিগ্রহণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষককে টাইমস্কেল দেয়া হয়েছিল। তবে, সম্মতি না নিয়ে হিসাবরক্ষণ অফিসগুলো থেকে শিক্ষকদের এই টাইমস্কেল দেয়াকে বিধি বহির্ভূত বলছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তাই, বেসরকারি আমলে চাকরিকাল গণনা করে অধিগ্রহণকৃত স্কুলগুলোর শিক্ষকদের টাইমস্কেল দেয়ায় জড়িত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। একই সাথে এসব শিক্ষকদের টাইমস্কেল বাবদ দেয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরত নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে হিসাব মহানিয়ন্ত্রককে।
একই সাথে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্রে শিক্ষকদের টাইমস্কেল গণনা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ বিধিসম্মত নয় বলেও জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানিয়ে চিঠি হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।