সরকারিগুলোর মতো বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেও মেধাক্রমের ভিত্তিতে (অটোমেশন) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর ফলে শুধু টাকার জোরে মেধাতালিকায় একেবারে পেছনের দিকে থাকা শিক্ষার্থীদের আর ভর্তির সুযোগ থাকছে না। চিকিৎসক হওয়ার ক্ষেত্রে মেধাবীরাই যেন সুযোগ পান, সেটি নিশ্চিত করতেই এই পদ্ধতি কার্যকর হতে যাচ্ছে। তবে চলতি বছরে অটোমেশন পদ্ধিতিতে ভর্তির প্রস্তুতি না থাকায় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু হবে এই কার্যক্রম।
গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত বেসিরকারি মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পদ্ধতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সভাপতিত্ব করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মুবিন খান, মহাসচিব আনোয়ার খান, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।
জানা গেছে, সভায় অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলানসহ অনেকেই অটোমেশন পদ্ধতিতে বা মেধা তালিকার ভিত্তিতে ভর্তির যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য দেন। তবে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধি, চেয়ারম্যান, পরিচালকরা অটোমেশন পদ্ধতি চালুর বিষয়ে একমত পোষণ করলেও এটি তাড়াহুড়া করে এখনই চালু না করতে অনুরোধ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত সবাইকে অটোমেশন পদ্ধতির মাধ্যমে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি কার্যক্রম মেনে নিতে অনুরোধ জানান। এতে উপস্থিত সবাই সে প্রস্তাব মেনে নেন ও একমত পোষণ করেন।