ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রকে (টিএসসি) বাণিজ্যিকীকরণের উদ্দেশ্যে সেখানে বহুতল ভবন তৈরির পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে তারা এমন কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে পরীক্ষা নেওয়া, টিএসসি ভাঙার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও করোনা পরিস্থিতিতে এ বছরের সব বেতন-ফি মওকুফ করা- এ তিন দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম। এ সময় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও ছাত্র ইউনিয়নের সহসাধারণ সম্পাদক মেফমল্লার বসু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাবি সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা, ছাত্রফ্রন্টের আরেক অংশের সাধারণ সম্পাদক রাজীব কান্তি রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জোটের নেতারা বলেন, টিএসসির যে জনপরিসর রয়েছে, সেটিকে শিক্ষার্থীরা কি ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারছে? এগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থের বিনিময়ে ব্যবহার করছে। ভবন তৈরির মধ্য দিয়ে এক ধরনের বাণিজ্যিক আদলে টিএসসিকে গড়ে তোলার পাঁয়তারা চলছে। লিখিত বক্তব্যে
রাগীব নাঈম বলেন, অনলাইন ক্লাসে ৫০ শতাংশের অধিক শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি। ক্লাস শুরুর সময়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়নে কোনো চেষ্টাই আমরা লক্ষ্য করিনি। ক্লাস শুরুর আগে বলা হয়েছিল, অনলাইন ক্লাসের ভিত্তিতে কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না। কিন্তু গত ১০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল ২৬ ডিসেম্বর থেকে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর পর্বের পরীক্ষা স্বশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই মধ্যে কিছু বিভাগে পরীক্ষার রুটিনও নির্ধারিত হয়েছে।inside-ad]
তিন দফা দাবি আদায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংহতি সমাবেশ এবং ৭ জানুয়ারি উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন।