দেশের মত পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিক্ষার্থীদেরও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া হচ্ছে। উপজেলার সরকারি বালক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে উপজেলার ৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে থেকেই এ কেন্দ্রে টিকা নিতে ভিড় করছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা। কেউ কেউ অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে, আবার কেউ দলবেঁধে স্কুল থেকে আসেন টিকা নিতে। তবে, পর্যাপ্ত বুথ না থাকার কারণে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকরা। তবে, টিকা নেয়ার পর স্বস্তি ছিল শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে।
রোববার সকালে সরেজমিনে এ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, টিকা নিতে আসা অনেক শিক্ষার্থীর মুখে মাস্ক নেই। থাকলেও মাস্কের অবস্থান ছিল থুতনিতে। ভিড় ঠেলে টিকা নিতে গিয়ে ছাত্রীদের পড়তে হয় চরম বেকায়দায়।
টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, টিকা নেয়ার আগে ভয় ছিল। কিন্তু টিকা নেয়ার পর সে ভয় কেটে গেছে। টিকা নিতে পেরে আমরা খুবই খুশি।
এক অভিভাবকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এত শিক্ষার্থীকে এক কেন্দ্রে একইদিন সমবেত করায় এ তাদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। ধাক্কাধাক্কির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করেন তারা। প্রচণ্ড ভিড়ে দীর্ঘ সময় অপক্ষোর কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় কেন্দ্র বাড়ানোর দাবি জানান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা বলছেন, যদি স্কুলে স্কুলে গিয়ে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা যেত তাহলে অনেক ভালো হতো।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার চাকী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উপজেলার অন্য বিদ্যালয়ে এসির ব্যবস্থা না থাকায় ৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাউখালী সরকারি বালক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একত্রিত করে টিকা দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উপজেলার স্কুল ও কলেজের ১২ থেকে ১৭ বছরের সব শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। ফাইজারের এসব টিকা ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হয়। তাই সব শিক্ষার্থীকে উপজেলা সদরে এসে টিকা নিতে হবে এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে।