বিশ্ব শিক্ষক দিবস এবং বাংলাদেশের বাস্তবতা - দৈনিকশিক্ষা

বিশ্ব শিক্ষক দিবস এবং বাংলাদেশের বাস্তবতা

মাছুম বিল্লাহ |

'The transformation of education begins with teachers.' (শিক্ষকদের পরিবর্তনের সাথেই শিক্ষার পরিবর্তন হয়।) এটি এবছর আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবসের স্লোগান। শিক্ষাক্ষেত্রে যে কোনো পরিবর্তন অবশ্যই শিক্ষকদের দিয়ে শুরু করতে হয়। অর্থাৎ শিক্ষকের পরিবর্তন হলেই শিক্ষার্থীর পরিবর্তন হয়। আর তখনই শিক্ষার পরিবর্তন ঘটে। আমাদের প্রশ্ন রাখতে হবে ‘আমরা শিক্ষকরা কি নিজেদের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে পারছি, পরিবর্তনকে কি মেনে নিচ্ছি? আমি নিজে কি পরিবর্তিত হচ্ছি? হলেও কত শতাংশ শিক্ষক পরিবর্তিত হচ্ছেন? এই প্রশ্নগুলো রাখার দিন আজ। 

মাঝে মাঝে ফেসবুকে কিছু স্ট্যাটাস দেখি। কেউ কেউ লেখেন দু’চারটি দেশের কথা, যেসব দেশে আদালতে কেবল শিক্ষকদেরই বসতে চেয়ার দেয়া হয়। তুলনা করেন ওসব দেশের শিক্ষক এবং আমাদের দেশের শিক্ষকদের সাথে। আমাদের দেশেও কি এরকম শিক্ষক নেই? প্রতিটি দেশেই ভিআইপিদের জন্য বিমানবন্দরে স্পেশাল লাউঞ্জ আছে। আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী জয়েন্ট সেক্রেটারি পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ ওই লাউঞ্জ দিয়ে ঢুকতে পারেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও লেভেল অনুসারে ওই লাউঞ্জ দিয়ে ঢুকতে পারেন, আর এ জন্যই এসব পদ বাগাতে এত ’তেল’ খরচ করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক কিন্তু সে ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে ঢুকতে পারেন না, তবে ভিসি পারেন। আর তাই ভিসি হওয়ার জন্য এত ধরাধরি চলে। আমাদের দেশের জাফর ইকবাল স্যার, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারেরা সে লাউঞ্জ দিয়ে ঢোকেন না। তারা সাধারণ যাত্রীদের লাউঞ্জ দিয়েই ঢোকেন। কিন্তু তাদের দেখার সাথে সাথে সবাই এসে তাদের কাজগুলো অত্যন্ত সম্মানের সাথে দ্রুত করে দেন। সে বিষয় তো অর্জন করেই নিতে হয়, শুধু রাষ্ট্রকে বা সমাজকে দোষারোপ করে লাভ নেই। আমাদের দেশে কিছু শিক্ষক আছেন, যারা অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত, কিছু কিছু শিক্ষক আছেন, যারা সরাসরি কোনো পার্টির সদস্য হিসেবে কাজ করেন। যে কারোরই রাজনৈতিক স্বাধীনতা রয়েছে, কিন্তু কিছু শিক্ষক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্রই পাওয়া যাবে যাদের দেখলে শিক্ষক মনে হয় না, মনে হয় কোনো পার্টির সরাসরি সদস্য। শিক্ষার্থী ও সমাজ তো তাদেও  সেভাবেই মূল্যায়ন করবে।

গত সপ্তাহে আমাকে একজন প্রধান শিক্ষক ফোন দিয়েছেন। শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই জানেন, আমি ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কাজ করতাম। বর্তমানে সেখানে নেই, অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। সেটি হয়তো সবাই জানেন না। জানার কথাও নয়। উক্ত প্রধান শিক্ষক সরাসরি ফোনে আমাকে বলছেন, তার স্কুলে ব্র্যাকের একটি গণকেন্দ্র আছে, সেখানে কতটাকা আছে তার জানা দরকার। উনি জানতে চাইলেন না আমি কে? আমি কোথায় আছি, কী অবস্থায় আছি, কথা বলার সময় হবে কিনা। শুধু বললেন, ‘আপনি ব্র্যাকে আছেন না?’ আমি ওনার নাম জানতে চাইলাম, কোথা থেকে বলছেন, গণকেন্দ্রের নাম কী? উনি একা যদি ওনার বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে কত টাকা আছে তা না জানেন, আমি কীভাবে ৩,০০০ গণকেন্দ্রের (ব্র্যাকের ৩০০০ এর মতো গণকেন্দ্র আছে) কোথায় কত টাকা আছে জানব? তিন হাজার লাইব্রেরির মধ্যে কার কত টাকা আছে, সেটি তো কারো মুখস্থ থাকার কথা নয়। একজন প্রধান শিক্ষক আমাকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধনও করছেন না, বলছেন, ‘আপনি তো ব্র্যাকের, তাই না?’ উনি একজন অপরিচিত লোককে যদি ‘স্যার’ বলতে না পারেন, উনি কীভাবে আশা করেন, তাদের ‘স্যার’ বলবে সমাজের সবাই? আমরা সম্মান চাই, কিন্তু সম্মান অন্যকে দেই না, দিতে জানি না, দেয়ার মতো কাজও করি না। আমি কিন্তু না চিনেও তাকে স্যার স্যার বলছি। একজন শিক্ষককে তো ওয়েল কমিউনিকেটেড হতে হবে। শিক্ষক তো রোল মডেল, যাকে দেখে শিক্ষার্থীরা শিখবে। সমাজ শিখবে। শুধু সমাজের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে কিছু দাবি করব আর সে রকম কাজ করব না, তা কী করে হয়? সমাজের অধঃপতন হচ্ছে, এই দোষ দিয়ে বসে থাকলে বা সব হাল ছেড়ে দিলে হবে না। সমাজ কারা গড়বে? সমাজকে কারা নষ্ট করছে? এককভাবে কেউ নয়। সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের রয়েছে বিশাল ভূমিকা। আমরা কাকে দোষ দিয়ে বসে থাকব? সমাজের অধঃপতনের জন্য তো আমরা সবাই কমবেশি দায়ী। 

শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সূত্র থেকে, উৎস থেকে সর্বশেষ তথ্যাবলি সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে, নিজেদের পেশাগত উন্নয়নে, শিক্ষার উন্নয়নে ব্যবহার করতে হবে, কাজে লাগাতে হবে। সাথে সাথে শিক্ষক সংগঠনগুলোকেও শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। শুধু দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা, কথাবার্তা, মিটিং আর মিছিল করলে জনসমর্থন, শিক্ষার্থী সমর্থন পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। 

আবার এক হাজার ১০৮ জন শিক্ষককে খুঁজে বের করা হয়েছে, যাদের সার্টিফিকেট জাল। এমন শিক্ষকদের পেছনে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এই অবৈধ নিয়োগে অন্যান্য প্রাপ্যতা হিসেবে আরও অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ২৬৮ কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বের করা হয়েছে বহু ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী। এ ধরনের শিক্ষকগণ কী পড়াচ্ছেন, কাদের পড়াচ্ছেন, কোন উদ্দেশ্যে পড়াচ্ছেন, সেগুলো কিন্তু বিরাট প্রশ্নের ব্যাপার। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে এগুলো নিয়েও ভাবতে হবে। 

বাংলাদেশের শিক্ষকসমাজ শিক্ষার জাতীয়করণ কেন চান? প্রথমত, অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য। দ্বিতীয়ত, পেশাগত সমতা ও সম্মানের জন্য। বর্তমানে যেভাবে বেসরকারি শিক্ষা চলছে, তাতে শিক্ষকদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। এলাকা ও ধরনভেদে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতা নির্ধারিত হয়। শহর ও শিল্পাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতা বেশি। গ্রামীণ, হাওড়, উপকূলীয়  ও পাহাড়ি এলাকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থিক সক্ষমতা খুবই দুর্বল। এসব এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের বেতনভাতা দিতে পারে না। ফলে এক অসম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শিক্ষকদের সংসার চালাতে যেমন কষ্ট হয়, তেমনি সামাজিকভাবেও নিজেদের হেয় মনে হয়। কারণ তার চারপাশের পেশায় নিয়োজিতরা, তাদের সহজাত শিক্ষক যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, একই ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তারা রাষ্ট্রের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। ফলে এক অসমতা এবং পেশাগত অসম্মানের জায়গা তৈরি হয়। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে যারা থাকেন, তারা সাধারণত এলাকার প্রভাবশালী, শিক্ষার সাথে সম্পর্ক কম এবং বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা ব্যক্তিবর্গ, যাদের আচার-আচরণ ও দুর্ব্যবহার বেসরকারি শিক্ষকদের অতিষ্ঠ করে তোলে। এ অবস্থায় শিক্ষাদানের মতো মহৎ কাজে শিক্ষকগণ আত্মনিয়োগ করতে পারেন না।   তারা এই অবস্থা থেকে বাঁচতে চান জাতীয়করণের মাধ্যমে। এক প্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর চাকরি করে এক ধরনের একঘেয়েমি চলে আসে। সেজন্য তারা চেয়েছিলেন বদলি পদ্ধতি চালু করতে। সেটিও কিন্তু হয়নি। সরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করেন, তাদের মোটামুটি তিন বছরের মাথায় বদলির নিয়ম, যদিও কোথাও সেটি মানা হয়, কোথাও হয় না। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থাটুকুও অন্তত চালু করা যেত, অধিক অর্থের প্রয়োজন হতো না, পেশায় কিছুট আনন্দ চলে আসত। শুধু উদ্যোগের অভাবে এটি এখনও হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষকদের জন্য এই কাজগুলো করবেন কে? রাজনীতিবিদগণ? প্রশাসকগণ? নাকি শিক্ষকগণ নিজেরাই? কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক প্রতিনিধি থাকেন না, যারা থাকেন তারা সরকারি। সরকারি হলে তারা তো বেসরকারি শিক্ষকদের কষ্টের কথা বুঝবেন না। কাজেই বিশাল অংশের বেসরকারি শিক্ষকদের পক্ষে কথা বলার লোক তেমন নেই। তারাও তাই পেশাগত উন্নয়নের চিন্তা বাদ দিয়ে শুধু অস্তিত্ব ও সম্মানের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে যে বিশাল পরিবর্তন আনার কথা, আনাটা প্রয়োজন, বৈশ্বিক এই যুগে শিক্ষকদের যেভাবে প্রস্তুত করতে হবে, সে দায়িত্ব না নিচ্ছেন শিক্ষকগণ নিজেরা, না করছে রাষ্ট্র। শিক্ষক সংগঠনগুলোর রয়েছে এখানে বিরাট ভূমিকা। কিন্ত তারা কি প্রকৃত অর্থে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন? বিষয়টিতে প্রশ্নই থেকে যাচ্ছে। কোনো শিক্ষক সংগঠনকে সাধারণত পেশাগত উন্নয়নের জন্য কোনো ওয়ার্কশপ, সেমিনার বা সিম্পোজিয়াম করার কথা শোনা যায় না। এটি না হলে কিন্তু আসল জায়গায় পরিবর্তনটা আসতে খুব কষ্ট হয়, কঠিন হয় এবং তাই হচ্ছে। 

অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা, পেশাগত অসমতা, ব্যবস্থাপনা কমিটির দৌরাত্ম্যের সাথে যুক্ত হয়েছে শিক্ষার্থীদের অমনোযোগিতা, অসদাচরণ, শ্রেণিকক্ষে না আসা, শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি, শারীরিক শাস্তির অনুপস্থিতি-- এ সবকিছু মিলে শিক্ষকতা পেশাকে এক অসহনীয় পেশায় পরিণত করা হয়েছে। তাই এ থেকে অনেকেই হাফ ছেড়ে বাঁচতে চান। শিক্ষকতার এই দশা কিন্তু শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের বহু দেশে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও অবস্থা প্রায় একই। সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর প্রায় অর্ধ মিলিয়ন শিক্ষক চাকরি ছেড়ে দেন, যেটি অন্য কোনো পেশাতে হয় কিনা সন্দেহ। দু’চারটি দেশ ছাড়া বিশ্বের প্রায় দেশেই শিক্ষকতা পেশাকে সেভাবে আকষর্ণীয় করা হয়নি। স্থানভেদে দু’একটি দেশে কিংবা দু’একটি দেশের দু’চারটি প্রদেশে কিংবা জায়গায় কিছু ব্যক্তি উদ্যোগের কারণে এই পেশায় কিছুটা ভিন্নমাত্রা দেওয়া হয়েছে। সব দেশেই শিক্ষকতা পেশার সম্মান এই পেশাটির মধ্যেই নিহিত, এটি অন্য যে কোনো পেশা থেকে আলাদা। আমরা ফেসবুকে তুরস্কের এক পাইলটের তার প্লেনের যাত্রী হিসেবে শিক্ষককে সম্মান প্রদর্শন করার নজির দেখতে পাই। এ রকম দু’ চারটি ঘটনা ব্যক্তি পর্যায়ে ঘটে থাকে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নয়। এই পেশাটিই এমন। 

এখন দেশের যে প্রান্তেই যাই না কেন, যেখানেই ওয়ার্কশপ করি না কেন, ঘুরে ফিরে একটি কথাই প্রায় সকল শিক্ষক বলে থাকেন, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে এবং পড়াশোনায় মারাত্মকভাবে অমনোযোগী। তাদের মনোযোগ ফিরিয়ে আনার  জন্য তাদের মোবাইলের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে আর শিক্ষকদের হাতে বেত দিতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের ভয় পায়। আসলে এ দুটোর কোনোটিই সমাধান নয়। মোবাইলের সাহায্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারা বিশ্বে শিক্ষার্থীদের বিচরণ আমরা ধরে রাখতে পারব না। তারা মোবাইল খুলেই যে জ্ঞানভাণ্ডারের ও অন্যান্য বিচিত্র বিষয়ের দেখা পায় শ্রেণিকক্ষের আলোচনায় তার শতভাগের একভাগও পায় না। তখন তার বয়সের অনুসন্ধিৎসু মন কোনদিকে  আকৃষ্ট হবে? সেটি আমাদের বুঝতে হবে। শ্রেণিকক্ষে আমাদের সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু পায়। শ্রেণিকক্ষ থেকে বেত সরিয়ে নেয়াই শিক্ষার্থীদের বেয়াদব হওয়ার প্রধান কারণ বলে অনেক শিক্ষক বলছেন। আসলে রাজনীতিতে আমরা যে, লাঠির খেলা দেখতে পাই, সেটি কি কোনো আদর্শিক কাজ, সেটি কি কোনো সমস্যা সমাধানের পথ? অবশ্যই না। তাই শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে তো এটি নয়ই। শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে ভয় দেখিয়ে শারীরিক শাস্তি প্রদান করে শেখানো যায় না। এটি একেবারেই পুরনো ধারণা। আমাদের মনে রাখতে হবে, শিক্ষকতা পেশায় সবকিছু নেই, তবে এমন অনেক বিষয় আছে, যা আর কোনো পেশায় নেই। এই পেশায় এমন কিছু পাওয়া যায় যা দুনিয়ার কোনো অর্থ বা সম্পদ দিয়ে পাওয়া যায় না। এ পেশার এমনই ধরন, এর মধ্যে আনন্দ খুঁজে পেতে হলে শিক্ষকদের আরও গবেষণা করতে হবে, আরও ডেডিকেটেড হতে হবে, আরও মোটিভেটেড হতে হবে। আমরা যখন নিজ পেশাকে প্রকৃত অর্থেই ভালবাসব, তখনই এ পেশায় পরিবর্তন আসবে।

লেখক : মাছুম বিল্লাহ, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, প্রেসিডেন্ট- ইংলিশ টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব) সাবেক শিক্ষক, ক্যাডেট কলেজ, রাজউক কলেজ ও বাউবি।  

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054051876068115