কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন দরকার। প্রযুক্তির এ যুগে যে পরিবর্তন আসবে সে জন্য দক্ষ জনশক্তিরও প্রযোজন। তাই কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। আগামী প্রজন্মকে কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) তিন দিনব্যাপী ২৪তম জাতীয় সম্মেলন ও ৪৩তম কাউন্সিল অধিবেশন উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই চিন্তার সফল বাস্তবায়ন ও পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি পেতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তিগত শিক্ষায় আনার কাজ চলছে। ১০০টির বেশি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান স্থাপন হচ্ছে। ৫৯৩টি প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে টেকনিক্যাল জ্ঞান দেওয়া হবে। এছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে চার বছর মেয়াদি করে বিশ্বমানের করা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমিই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এভাবেই তা থাকা দরকার বলে মনে করি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তিন বছর মেয়াদ করার সিদ্ধান্ত ভেবে দেখতে বলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, আইডিইবির সভাপতি একেএমএ হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।