যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন হয়েছে। রোববার (১৭ এপ্রিল) দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল একটি ঐতিহাসিক গৌরবোজ্জ্বল দিন। স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার এদিন শপথ গ্রহণ করে বিশ্বের বুকে এক অবিস্মরণীয় নজির স্থাপন করে। সে সময় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা জাতির পিতার আদর্শ ও নির্দেশনা সুচারুভাবে পালন করার ফলে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্তিকভাবে সরকার গঠিত হয়েছিলো। দেশের জন্য এসব ত্যাগ ও অবদানের কথা আমাদের সকলের জানা দরকার। জাতি গঠনে দেশপ্রেম ও ঐক্য গড়ে তোলার জন্য আমাদের বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহযোগীদের আদর্শ ও জীবন সংগ্রাম তুলে ধরতে হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে আরো জনমুখী ও টেকসই করতে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য’ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, দুপুরে বাদ যোহর জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার গঠন-এর উপর চিত্র প্রদর্শনী করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।