দেশের সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারিতে (বিডিএস) ভর্তির জন্য নির্ধারিত ‘আদিবাসী’ কোটায় ‘অ-আদিবাসী’ শিক্ষার্থীর ভর্তি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ২১ বিশিষ্টজন। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, রামেন্দু মজুমদার, ডা. সারওয়ার আলী, ডা. ফওজিয়া মোসলেম, ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, খুশী কবির, রোকেয়া কবির, এসএমএ সবুর, অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, অধ্যাপক এমএম আকাশ, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সালেহ আহমেদ, অ্যাডভোকেট পারভেজ হাসেম, দীপায়ন খীসা, আব্দুর রাজ্জাক, এ কে আজাদ, অলক দাস গুপ্ত, বিভূতী ভূষণ মাহাতো, কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল ও গৌতম শীল।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিডিএস কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে ‘আদিবাসী’ কোটায় আবারও ‘অ-আদিবাসী’ শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বরে বিডিএস কোর্সে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। ভর্তির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এই কোর্সে ‘আদিবাসীদের’ জন্য পাঁচটি আসন সংরক্ষিত। এরমধ্যে পার্বত্য এলাকার ‘আদিবাসীদের’ জন্য তিনটি এবং অন্য ‘আদিবাসীদের’ জন্য দুটি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করার কথা। পার্বত্য এলাকার তিন আসনে সঠিক নিয়মে শিক্ষার্থী মনোনীত হলেও অন্য ‘আদিবাসীদের’ জন্য সংরক্ষিত দুই আসনে (কোড-৭৭) মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বাঙালি শিক্ষার্থীদের। তারা হলেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে নির্বাচিত আবু মো. মোস্তফা কামাল (রোল-৫৬০৩৭৫০) এবং সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে নির্বাচিত আঞ্জুম ফারিয়া (রোল- ৫৪০৬৮৪২)। এ দুই শিক্ষার্থীর কেউই সরকারের গেজেটভুক্ত ৫০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর (‘আদিবাসী’ জাতিসত্তার) সদস্য নন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ভর্তি পরীক্ষায় সমতলের ‘আদিবাসীদের’ মধ্যে ১৫ জন কৃতকার্য হলেও তাদের কাউকেই ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়নি। কৃতকার্যদের মধ্যে পাঁচজন সাঁওতাল, চারজন গারো, তিনজন মণিপুরী, দুইজন ওরাঁও এবং একজন হাজং জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী রয়েছেন। অবিলম্বে ‘আদিবাসী’ কোটার অধীনে থাকা ‘অ-আদিবাসী’ শিক্ষার্থীদের ভর্তির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ‘আদিবাসী’ শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য নির্বাচিত করে তালিকা প্রকাশ করার জোর দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিদাতারা এও বলেন, ‘আদিবাসী’ কোটায় ‘অ-আদিবাসীরা’ কীভাবে স্থান পায়, তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রযোজন। ‘আদিবাসী’ কোটায় শুধু ‘আদিবাসী’ শিক্ষার্থীদেরই নির্বাচিত করতে হবে। এই অনিয়ম বন্ধ হওয়া জরুরি বলেও মন্দব্য করেন বিশিষ্টজনেরা।