করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতোই গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি থেকে বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম। প্রায় এক বছর পর আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি আজ মঙ্গলবার মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে হলগুলো খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করার সুপারিশ করেছে। তবে শুরুতে শুধু স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খোলা হতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। প্রভোস্ট কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছি মাত্র। এই পরামর্শ ডিনস কমিটিতে যাবে। সেখান থেকে একাডেমিক কাউন্সিলে যাওয়ার পর তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।’
প্রভোস্ট কমিটির সদস্য সচিব ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, সভায় দুইটা আলোচ্যসূচি ছিল। তার মধ্যে একটি হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং হল খোলার বিষয়। আমরা আগে থেকেই হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছি। যেহেতু সম্প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আর প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা সেই নির্দেশনা অনেক আগে থেকেই পালন করে আসছি। এবং এই বিষয়ে আরো সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, প্রত্যেকের রুম পরিষ্কারের ব্যাপারেও আমরা সহযোগিতা করব।
ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে কয়েকটি বিভাগ তাদের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন দিয়েছে বলে জানান অধ্যাপক গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, আমরা হল খোলার ব্যাপারে একটা জায়গায় পৌঁছেছি। যেসব বিভাগ সেমিস্টার ফাইনালের তারিখ দিয়ে দিয়েছে সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীদের ডেটা নিয়েছি। হল প্রাধ্যক্ষরা এ ব্যাপারে সবাই তাদের কাছে থাকা তথ্য দিয়েছেন। পরীক্ষা শুরুর এক সপ্তাহ আগে আমরা হলে তুলব। কেননা, পরীক্ষার আগে ফর্ম ফিলাপের বিষয় রয়েছে।
প্রভোস্ট কমিটির সদস্য সচিব বলেন, এ ব্যাপারে আরো সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, হলে যাদের রুম বরাদ্দ রয়েছে তাদের হলে নেওয়া হবে। এর বাইরে আর কেউ হলে উঠবে না। এ ছাড়া, ছাত্রত্ব শেষ এবং বহিরাগতদের ব্যাপারেও কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।