আমার বোনের মেয়ে (শিক্ষার্থী) জান্নাতুল ফেরদৌসের (জেএসসি রোল নম্বর ৩২২৯৫১, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১১০৪৮৭২২০/২০১১, পাশের সন ২০১১; এসএসসি রোল নম্বর ২৩০৭০১, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১১০৪৮৭২২০/২০১২, পাশের সন ২০১৪, মানবিক বিভাগ; এইচএসসি, রোল নম্বর ৩৬৩২৫৮, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১১০৪৮৭২২০/২০১৪, পাশের সন ২০১৬, মানবিক বিভাগ) বাবা-মায়ের নামের বানান সংশোধন করার জন্য যথানিয়মে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকায় আবেদন করি। আবেদন পাশ হয়। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, বোর্ড কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটেও শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের নাম সংশোধন করা হয়েছে। এর পরপর আমি আবার সংশোধিত সার্টিফিকেটের জন্য বোর্ডে আবেদন করি জেএসসি সাটিফিকেট, এসএসসি সার্টিফিকেট ও মার্কশিট, এইচএসসির সার্টিফিকেট ও মার্কশিটসহ। এর মধ্যে ১০ মাস অতিক্রান্ত। এই ১০ মাসে আমি ছয়বার বোর্ড অফিসে যাওয়ার পর চারটি কাগজ পেয়েছি।
যদিও ঢাকা বোর্ড ওয়েব সাইটে শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের নাম সংশোধিত, তথাপি আমাকে যে চারটি কাগজ দেওয়া হয়েছে তাতে সংশোধন করা হয়নি। কেন করা হয়নি—এটা জানতে যোগাযোগ করে কোনো সদুত্তর পাইনি। এদিকে ঐ সার্টিফিকেট পেতে বিলম্ব হওয়ায় শিক্ষার্থীকে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। আগে সার্টিফিকেটের জন্য অ্যানালগ সিস্টেমে আবেদন করা হতো। এখন আবেদন করার সিস্টেম ডিজিটাল করা হয়েছে। তারপরও যদি এমন বিড়ম্বনা পোহাতে হয়, তাহলে ডিজিটাল পদ্ধতির সুফলটা কোথায়?
লেখক : মো. মোশারফ হোসেন, জয়দেবপুর, সাধুপাড়া, ইসলামবাগ, গাজীপুর