সরকারি কলেজ থেকে সরাসরি বোর্ড অফিসে বদলি হয়ে আসা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা দালালদের কাছে অসহায়। ক্যাডার কর্মকর্তাদের কেউ কেউ আবার দালালদের কাছ থেকে টাকা পেয়ে ‘কাজটা’ তাড়াতাড়ি করে দেন এমন অভিযোগও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বোর্ড অফিসে কর্মরত সচিবসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর।
সভা শুরুর আগে আবেদনকারীদের মোবাইলে এসএমএস যাওয়ার কথা থাকলেও তা যায়না। দালালদের টাকা দিলে ঠিকই যায়।
আজ বুধবার বোর্ড অফিসে নাম সংশোধনের সভা শুরুর আগে-পরে ঘুষ লেনদেন ও দালালদের দৌরাত্ম্য দেখা গেছে। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত বয়স সংশোধনের সভায়ও দালালদের কাজগুলোই আগে হয়েছে। যারা টাকা দিতে পারেননি বা দেননি তারা ঝুলে আছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দালাল রাসেল, হাবিব, দুলালসহ কয়েকজন প্রায়ই বোর্ডের কর্মকর্তাদের কক্ষে বসে থাকেন। কয়েকজন নেতার সঙ্গে রয়েছে সখ্য। হারিয়ে যাওয়া সনদ তোলা ও বয়স ও নাম সংশোধন শাখার প্রায় সবার সঙ্গেই রাসেলের সখ্য। রাসেল স্থানীয় হওয়ায় আনসার ও কর্মচারীদের সঙ্গে সখ্যটা জমে উঠেছে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের উপ-সচিব খান খলিলুর রহমান বলেছেন, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকা বোর্ডে আনসার ও দালালদের দৌরাত্ম বিষয়ে বোর্ডের সচিব প্রফেসর তপন কুমার সরকার কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড অফিসে দালালদের প্রবেশে টাকা লাগলেও শিক্ষক সাধারণ মানুষদের প্রবেশে কোনো টাকা লাগে না।