বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) শনিবার কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘আলমামেটার-এর প্রতি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক আলাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশিষ্টজনরা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীসহ অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা রাষ্ট্র ভেঙেছি কিন্তু রাষ্ট্রের পিতৃতান্ত্রিক চরিত্র বদলাতে পারিনি। বদলের জন্য প্রয়োজন জ্ঞানের চর্চা। জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে আমরা ব্যক্তিগতভাবে সমৃদ্ধ হব। এ পরিবর্তন আমাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হবে না। হবে সমষ্টিগত। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের নিপীড়নগত চরিত্র বদলে দেব। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ওপরই এই দায়িত্ব বর্তায়। কেননা তারাই সমাজের অগ্রসর মানুষ।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ের প্রথম মানদণ্ড থাকে শিক্ষকদের গবেষণার মান, সাইটেশন কতটা ভালো। ফলে সহজেই বোঝা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা কতটা ভালো শিক্ষক পাচ্ছি। এ সময় তিনি গবেষণায় সহায়তায় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটা টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব করেন।
অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশে অসাধারণ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে তিনি আন্তর্জাতিক মণ্ডলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছেন এবং বিভিন্ন উপাধি ও অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। আগামীতেও তাদের এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
একে আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইয়ের তুলনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে রয়েছে। তবুও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তন সংস্কার, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, লাইব্রেরি সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামীতে উন্নতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে উদ্যোগ নেব আমরা।