ওয়েবসাইটের কারিগরি জটিলতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল রোববার (১৪ মার্চ) রাত ৮টায় পুনরায় ভর্তি আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এখন পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। বর্তমান সিস্টেমে প্রচন্ড চাপের কারণে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এজন্য আমরা দূঃখ প্রকাশ করছি। দূর্ভোগ কমানোর উদ্দেশ্যে আরও দুইটি সার্ভার স্থাপনের কাজ রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। এসময় ভর্তির আবেদন গ্রহণ স্থগিত থাকবে। পরবর্তীতে ভর্তি আবেদনের ও টাকা জমা দেয়ার শেষ তারিখ সমন্বয় করা হবে।”
জানা যায়, গত ৮ মার্চ বিকাল পাঁচটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান অনলাইনে ভর্তি আবেদন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তবে উদ্বোধনের পর থেকে আবেদন করতে গিয়ে যান্ত্রিক গোলযোগের সম্মুখীন হচ্ছিলেন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা। অভিযোগের পর ওইদিন স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ থাকার পর পরদিন ৯ মার্চ ওয়েবসাইটটি আবারও খুলে দেওয়া হয় আবেদনের জন্য।
কিন্তু ভর্তির জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://admission.eis.du.ac.bd) ভিজিট করলে দেখা যায়, আবেদনকারীদের তখনও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কোনও একটি নির্দেশনায় ক্লিক করলে লোড হতে সময় নিচ্ছিলো অনেক বেশি। কখনও কখনও ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করেই টাইম আউট দেখাচ্ছিল। সমস্যাটি ক্রমশ বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় অনলাইন কার্যক্রম কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে পৌনে একটা থেকে রোববার (১৪ মার্চ) পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয় ওয়েবসাইটটি।
অনলাইন ভর্তি কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার পৌনে একটার দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওয়েবসাইটটি। যান্ত্রিক গোলযোগের সমাধান করে রোববার রাত আটটার দিকে আবারও ওয়েবসাইটটি খুলে দেওয়া হবে আবেদনের জন্য।
তিনি আরও বলেন, বলেন, এবার আবেদন প্রক্রিয়ার শুরুর প্রথমদিনে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় পাঁচ ইউনিটে মোট ১ লাখ ৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এর আগে এত পরিমাণ আবেদন কখনো পড়েনি। ফলে ওয়েবসাইটের বেশ চাপ পড়েছে। এ কারণেই মূলত এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। গতবার পাঁচ ইউনিটে ২ লাখ ৭০ হাজার আবেদন পড়েছিল। এবার পাসের হার বেশি, এবার হয়তো সাড়ে তিন লাখ হতে পারে।